ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের কোষ বিভাজনের সময় পরিবর্তিত নতুন কোষ ও উৎপন্ন হয় যা টিউমার সেল এ নতুন বৈশিষ্ট যোগ করে। এই পরিবর্তিত নতুন জীনগুলোর কার্যকারিতা অত্যন্ত জটিল এবং এগুলো সংখ্যায়ও অনেক বেশী। একটি কোষে এই নতুন জীনগুলো অন্য জীন প্রোটিনের সঙ্গে একত্রে জটিল সেল নেটওয়ার্কের সৃষ্টি করে যেমন সিগন্যাল চ্যানেল, জীন এক্সপ্রেশন রেগুলেশন নেটওয়ার্ক, মেটাবোলিজম বা বিপাক নেটওয়ার্ক ইত্যাদি। এই নেটওয়ার্ক সেলের কার্যকারিতা পরিবর্তিত জীন গুলোর অবস্থার উপর নির্ভরশীল। কিছু কিছু নেটওয়ার্ক জীনের পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করে। প্রকৃতপক্ষে টিউমার হল একধরণের আণবিক নেটওয়ার্ক ডিজিজ আর এই আণবিক নেটওয়ার্কের অস্বাভাবিকতা ও জটিলতার কারণে টিউমারের আকার এবং ধরনে পার্থক্য দেখা যায়।
মূলবিষয়ঃ টার্গেটেড জীন থেরাপি মূলত নির্দিষ্ট কিছু জীন কে টার্গেট করে সেগুলোকে মেরে ফেলে। এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক টিস্যু গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় না কিন্তু টিউমার বা ক্যান্সারের টিস্যুগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
টার্গেটেড জীন থেরাপি অস্বাভাবিক জীন গুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে ।
সার্জিক্যাল অপারেশন |
ট্র্যাডিশনাল রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি |
টার্গেটেড জীন থেরাপি |
সার্জিক্যাল অপারেশনে কাঁটা ছেঁড়ার দরকার হয় এবং অপারেশনের পরেও নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়।
|
এগুলো বিষাক্ত থেরাপি যা ক্যান্সার কোষের সাথে সাথে স্বাভাবিক কোষগুলোকেও মেরে ফেলে। |
টার্গেটেড জীন থেরাপি টিউমারের কার্সিনোজেনেটিক উপাদান যেমন এনজাইম, প্রোটিন, রিসেপ্টর ইত্যাদির উপর কাজ করে টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।. |
জীন থেরাপির পদ্ধতিঃ
১. নিরাময়কারী জীন সংগ্রহ করা।
২. জীন বাহক নির্বাচন করা।
৩. টার্গেট সেল নির্বাচন করা।
৪. জেনেটিক ট্র্যান্সমিশন।
৫. পরিবর্তনযোগ্য সেলকে সনাক্ত করা।
৬. ভিভো প্রতিস্থাপন।
সুবিধাঃ
১.টার্গেটেড জিন থেরাপি নির্দিষ্ট টিউমার সেলের উপর অধিক ঘনত্ব বিশিষ্ট মেডিসিন প্রয়োগ করে।
২. মেডিসিন উচ্চ ঘনত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে টিউমারে এর কিছু অংশ সংরক্ষিত থাকে।
৩. মেডিসিনের কার্যকারিতা দীর্ঘদিন পর্যন্ত বহাল থাকে।
৪. টিউমার সেল কার্যকর ভাবে ধ্বংস হয়।
৫. এটি জটিলতা মুক্ত এবং স্বাভাবিক টিস্যুগুলোর কোনরকম ক্ষতি করেনা।
৬. এটি রোগীর শরীরের জন্য সহনশীল কিন্তু গুণগত মানের দিক দিয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী।
৭. টার্গেটেড জীন থেরাপির সাথে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া যায় ফলে আরও ভাল ফল পাওয়া সম্ভব।