ফোটন নাইফ কি?
ফোটন নাইফ হচ্ছে সুনির্দিষ্ট রেডিও থেরাপী এবং একই সাথে বর্ত্মানে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার এবং উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সেরা ত্রিমাত্রিক রেডিওথেরাপী যা শরীরের সাথে মানিয়ে যায়। এছাড়া এটি চূড়ান্তভাবে , অপারেশন এর আগে বা পরের রেডিও থেরাপীর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়।
মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এ পর্যন্ত হাজারো রোগীর ক্ষেত্রে ফোটন নাইফ পদ্ধতি ব্যবহার করেছে এবং শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশী রোগী আরোগ্য লাভ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরনঃ
“ ফোটন নাইফ” সহজে এবং নির্ভুলভাবে ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তির সাহায্যে টিউমারকে আবদ্ধ করে ফেলে কোন ধরনের শারীরিক প্রভাব না ফেলা ছাড়াই টিউমারকে ধ্বংস করতে পারে।
লক্ষ্য স্থিরকরনঃ
“ ফোটন নাইফ” পদ্ধতিতে ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্ভুলভাবে টিউমারের অবস্থান নিশ্চিত করা হয় এবং প্রতিফলনের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করে টিউমারের অবস্থা বা চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচনে সহায়ক ভূমিকা রাখে । এটি যেকোন রেডিও থেরাপীর থেকে নির্ভুল,উন্নত,কার্যকর এবং সহজতমভাবে চিকিৎসার উপায়।
সঠিক চিকিৎসাঃ
সঠিক উপায়ে চিকিৎসা করানোর মাধ্যমে অতি দ্রুত টিউমার থেকে সেরে ওঠা সম্ভব।
ফোটন নাইফের বিশেষ কার্যকারিতাঃ
ফোটন নাইফ |
১। ফুসফুসের সমস্যায় ব্যবহার সম্ভব। ২। ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে কার্যকর। ৩। যাদের ক্ষেত্রে সার্জারী সম্ভব নয়,তাদের জন্য। ৪। বয়স্ক রোগীদের জন্য,যারা সার্জারী নিতে অপারগ। ৫। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার সম্ভাবনা কম।
|
বনাম |
প্রচলিত পদ্ধতি |
১। টিউমার সাধারণ টিস্যুর সাথে থাকায় সাধারণ ডোজ কার্যকরী হয়না। ২। রক্তপাত, তিক্ত যন্ত্রণা এবং ঝুঁকি হতে পারে। ৩। সার্জারী সম্ভব হয়না অনেক ক্ষেত্রেই। ৪। ইমপ্লান্ট এর কারণে স্বাভাবিক টিস্যুতে টিউমার ছড়াতে পারে। ৫। কেমো ঔষধের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
|
ক্লিনিক্যাল চিকিৎসায় প্রমানিত হয়েছে যে, নিন্মোক্ত টিউমার সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি বিশেষ কার্যকর এবং শরীরের সাথে মানানসই।