ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার একটি সাধারণ ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার যা খুব দ্রুত বিস্তার করে।মহিলাদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সারের আনুপাতিক হার পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সামান্য পার্থক্য দেখা যায়। ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার রোগীদের জন্য চিকিত্সার বিকল্প কি কিছু আছে? নিম্নে এর বিবরণ দেওয়া হল:
ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সারের সার্জারিগুলোর মধ্যে হেমিল্যারিঙ্গেকটোমি, পার্শিয়াল ল্যারিঙ্গেকটোমি, টোটাল ল্যারিঙ্গেকটোমি, সার্ভিকাল লিম্ফ নোডের অপসারণ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব সার্জারির কার্যকারিতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। ল্যারিনগিয়াল ক্যান্সার চিকিত্সা পদ্ধতি ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে।ক্যান্সারের সার্জারিগুলোর মূল লক্ষ্য হল শরীরের গঠন স্বাভাবিক রেখে ক্ষত সারিয়ে তোলা।
রেডিয়েশন থেরাপিঃ
সার্জারির সাথে রেডিওথেরাপি দিয়ে একটি ভাল চিকিত্সামূলক ফল পাওয়া যায়।ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সারের অবস্থা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সার্জারির আগে অথবা পরে রেডিওথেরাপি প্রয়োগ করে থাকেন।
কেমোথেরাপি
ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি প্রধান চিকিত্সা হিসাবে ব্যবহ্নত হয় না।পরিণত পর্যায়ে ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার সার্জারির আগে উপযুক্ত চিকিত্সা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
চাইনিজ মেডিসিনঃ
ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রধানত চাইনিজ মেডিসিন ব্যবহার করা যায়।যে সকল রোগী সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি চিকিত্সা নিতে শারীরিক ভাবে অক্ষম অথবা সার্জারির পরে পুনরায় ক্যান্সার সংঘটিত রোগীদের জন্য চাইনিজ মেডিসিন অত্যন্ত উপযোগী ।
ইন্টারভ্যানসনাল থেরাপিঃ
ইন্টারভ্যানসনাল থেরাপি একটি আধুনিক চিকিত্সা পদ্ধতি, যা প্রচুর চিকিৎসাগত পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য প্রমাণিত হয়েছে।ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সারের জন্য ইন্টারভ্যানসনাল থেরাপি সাহায্যে রক্তের ভেসেল ইনফিউসন অথবা এম্বোলিজম পদ্ধতিতে চিকিত্সা করা হয়। ইন্ট্রা-আরটেরিয়াল ইনফিউশন সংক্ষিপ্ত ও সরাসরি চিকিৎসা হিসেবে পরিচিত।এর সাহায্যে ক্যান্সার কোষে রক্তের মধ্যে এন্টিক্যান্সার ঔষধ প্রবেশ করানো হয়।এতে আশেপাশের টিস্যুর কোন ক্ষতি না করে ঔষধের কার্যকারিতা বাড়িয়ে চিকিৎসা পদ্ধতিকে ফলপ্রসূ করা হয়।
সার্জারির আগে ইন্টারভ্যানসনাল চিকিত্সার সাহায্যে টিউমার সফলভাবে সঙ্কুচিত করে সার্জারির দীর্ঘস্থায়ীত্ব কমানো যায়।সার্জারির জন্য অনুপযোগী রোগীদের ক্ষেত্রে ইন্টারভ্যানসনাল চিকিত্সার সাহায্যে ব্যথা কমিয়ে জীবনমান বৃদ্ধি করা হয়।