টেস্টিকিউলার ক্যান্সার প্রধানত দুই ধরনের হয় বিভক্তঃ সেমিনমাস এবং নন সেমিনমাস। প্রতি ১০০ জন টেস্টিকিউলার ক্যান্সারের মধ্যে ৩০ জন সেমিনমাস হয়। টেস্টিকিউলার ক্যান্সার নন সেমিনমাস এর মধ্যে কোরিওকারসিনমা, এমব্রয়াল কার্সিনোমা, টেরাটমা এবং ডিমের কুসুম আকৃতির টিউমার অন্তর্ভুক্ত।
যদিও সেমিনমাস এবং নন সেমিনমাসের বৃদ্ধি এবং ছড়ানোর উপায় সমান , তবে এদের চিকিত্সা পদ্ধতি ভিন্ন। সেমিনমাস এবং নন সেমিনমাস উভয় টিউমারের ক্ষেত্রে, নন সেমিনমাসের চিকিত্সা পদ্ধতি এক্ষেত্রে ব্যবহ্নত হয়। টেস্টিকিউলার ক্যান্সার চিকিত্সা পদ্ধতির মধ্যে ক্যান্সারের পর্যায় , রোগীর বয়স এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য শর্ত এবং অন্যান্য অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
টেস্টিকিউলার ক্যান্সার চিকিত্সার জন্য সার্জারী, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনএবং সেলুলার ইমিউন থেরাপি, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত
সার্জারি
সার্জারি একটি পদ্ধতি যার সাহা্য্য অন্ডকোষের সামান্য অংশ অপসারণ করা হয়। টেস্টিকিউলার রোগীরা সাধারণত চিন্তিত থাকে তাদের লিঙ্গের কার্যকারিতা এবং প্রজনন ক্ষমতা সম্পর্কে। দীর্ঘ সুস্থ অন্ডকোষ থাকায় তাদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই।এতে রোগী স্বাভাবিক থাকে এবং শুক্রাণু উত্পাদন করতে পারে।
রেডিওথেরাপি দ্বারা চিকিত্সা
রেডিওথেরাপি এক ধরণের চিকিত্সা পদ্ধতি যার মাধ্যমে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন রশ্মি ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষগুলোকে ধবংস এবং টিউমার সঙ্কুচিত করা হয়। রেডিওথেরাপি সাধারণত সার্জারি করার পরে ব্যবহ্নত হয় । এটি একটি স্থানীয় থেরাপি যা নির্দিষ্ট এলাকায় ক্যান্সার কোষগুলোকে প্রভাবিত করে। এছাড়া, স্পার্মটোজেনিয়াস কোষগুলো রেডিওথেরাপির জন্য খুব সংবেদনশীল কিন্তু নন স্পার্মটোজেনিয়াস কোষগুলো নয়।তাই রেডিওথেরাপি সাধারণত নন স্পার্মটোজেনিয়াস রোগীদের জন্য প্রয়োগ করা হয়।
কেমোথেরাপি
কেমোথেরাপি একটি সুসংগঠিত চিকিত্সা, যা অ্যান্টিক্যান্সার ঔষধ প্রয়োগ করে পুরো শরীরে ক্যান্সার কোষ ধবংস করে। কেমোথেরাপি সাধারণত সার্জারি পরে প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষগুলো ধবংস এবং সার্জারির প্রভাব উন্নত হয়।
ট্র্যাডিসনাল চাইনিজ মেডিসিনঃ
ট্র্যাডিসনাল চাইনিজ মেডিসিন শরীরের ভারসাম্য, শক্তিবর্ধক হিসেবে ক্যান্সার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। এটি সার্জারি করার পর কার্যকরভাবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং জটিলতা উপশম করতে পারে। কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি এর সাথে ট্র্যাডিসনাল চাইনিজ মেডিসিন প্রয়োগ করে শরীরের বিষাক্ত উপাদান সরিয়ে সার্জারির কার্যকারিতা বাড়ানো হয়। সার্জারির পরে এ্যাডভান্সড পর্যায়ে রোগীরা কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপির পরে প্রতিনিয়ত চাইনিজ মেডিসিন সেবন করতে পারেন। যেসব রোগীদের অবস্থা আশারুনুপ নয় এবং যাদের সার্জারি করা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে তারা ক্রমাগত চাইনিজ মেডিসিন সেবন করে ক্যান্সার উপসর্গের উপশম কমিয়ে, আয়ু বাড়াতে পারেন।