স্কিন ক্যান্সার এক ধরণের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা সাধারণত ত্বকে সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ দুটোকে ব্যাসাল সেল কার্সিনোমা এবং সেল কার্সিনোমা বলা হয়। স্কিন ক্যান্সার সাধারণত ত্বকের বাইরে হওয়ায় টিউমারগুলোকে সহজেই দেখা যায়।প্রায়ই প্রাথমিক পর্যায়ে স্কিন ক্যান্সার সনাক্ত করা যায়। স্কিন ক্যান্সারের হওয়ার বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে সূর্যের বেগুনী এক্স - রশ্মি, অতিরিক্ত তাপ এবং রাসায়নিক পদার্থ যেগুলো ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যেমন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি,আর্সেনিক, পেট্রোলিয়াম, পিচ, আলকাতরা, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত
স্কিন ক্যান্সারের সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার জন্য রোগীর শারীরিক অবস্থা,বয়স,লিঙ্গ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।সার্জারি করার পরে চোখ,নাক,কান ইত্যাদির উপর লক্ষ্য রাখা উচিৎ। সার্জারি করার পরে স্কিনের ক্ষতের পাশাপাশি এর স্বাভাবিক উজ্জলতা উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সার্জারির সময় রোগীর স্বাস্থ্য বিবেচনা করা উচিত. রোগী এন্টিকোএগুলেশন থেরাপি(এসিটি)চিকিৎসা ধীন থাকলে রক্তপাত ছাড়া চিকিৎসা সেবা দিতে হবে যেমন –আর হি নাইফ,পার্টিকেল ইমপ্ল্যান্টেশন এবং ইম্যুনোথেরাপি। যারা উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করতে পারেন না যেমন –বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগী,দীর্ঘদিন রেডিওথেরাপি নিতে অক্ষম মহিলা রোগী ইত্যাদি ; এক্ষেত্রে চাইনিজ এবং ওয়েস্টার্ণ মেডিসিনের সমন্বয় চিকিৎসা নিতে পারেন।
১.আর হি নাইফঃ ‘আর হি নাইফ’ হচ্ছে মাত্র এক মিনিটের মধ্যে তাপমাত্রা খুব দ্রুততার সাথে হ্রাস করে মাইনাস ১৬৫ ডিগ্রিতে আনা হয় এবং আশ্চর্যজনক ভাবে খুব দ্রুত স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রীতে নিয়ে আসা হয়।স্বাভাবিক কোষগুলো তাপমাত্রার এই তারতম্য সহজে শোষণ করে ফেলতে পারে কিন্তু টিউমার কোষগুলো তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন শোষণ করতে না পেরে ধ্বংস হয়ে যায়।এ পদ্ধতিতে আশপাশের টিস্যুর কোন ধরনের ক্ষতি এবং কোন রকম ব্যথার উদ্রেক হয়না, শুধুমাত্র ২-৩ মি.মি. স্থানে একটি ছোট ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
২.পার্টিকেল ইমপ্ল্যান্টেশন
রেডিওথেরাপির চিকিৎসা ব্যাসাল সেল কার্সিনোমা এবং সেল কার্সিনোমা ক্যান্সারের জন্য খুব সংবেদনশীল।চিকিৎসার পূর্বে চিকিৎসা পদ্ধতির সম্পর্কে পরিকল্পনা করা হয়; এতে রোগীর বয়স, লিঙ্গ,টিউমারের ধরণ,শারীরিক অবস্থান ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়। ১২৫I এক ধরনের রেডিওকণা যার মাধ্যমে ক্রমাগত গামা রশ্মি প্রবাহের মাধ্যমে টিউমার ধবংস করা হয়।পার্টিকেল নাইফ সার্জারি এবং রেডিওথেরাপির মত কার্যকরী চিকিৎসা ফলাফল দিতে পারে।
৩.বডি সেল ইম্যুনোথেরাপি
বডি সেল ইম্যুনোথেরাপির সাহায্যে রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিকারী ইমিউন সেল প্রবেশ করানো হয়।এতে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সক্রিয়ভাবে টিউমার ধ্বংস করে।বডি সেল ইম্যুনোথেরাপি স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে এক ধরণের গ্রিন থেরাপি হিসেবে কাজ করে।এর মাধ্যমে রক্ত ও লসিকাগ্রন্থিতে অবস্থিত বিভিন্ন অবশিষ্ট ও লুকায়িত কোষগুলোকে অপসারণ ও ধবংস করা হয়।এতে ক্যান্সার পুনরায় হওয়া ও ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪.চাইনিজ এবং ওয়েস্টার্ণ মেডিসিনের সমন্বয়ে টার্গেট থেরাপি
ক্যান্সার প্রতিরোধে চাইনিজ এবং ওয়েস্টার্ণ মেডিসিনের সমন্বয় চিকিৎসা একক চিকিৎসার চেয়েও বেশি কার্যকর।মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ থেরাপি একটি উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি যার সাহায্যে টিউমারকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত ও ধ্বংস করে, শারীরিক অবস্থা উন্নতি করা হয়।এছাড়াও মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ থেরাপির সাথে ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন প্রয়োগের ফলে রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং তার শারীরিক অবস্থা উন্নতি হয়।