প্রোস্টেট ক্যান্সার চিকিৎসা
প্রোস্টেট ক্যান্সার হলো প্রোস্টেট টিস্যুতে তৈরি হওয়া মারাত্মক ধরনের টিউমার। মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংঝু এর বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন যে, প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বা স্নায়বিকভাবে দুর্বল করা যাবে না, বরঞ্চ তাকে নিয়মিত হাসপাতালে যেতে হবে চিকিৎসার জন্য।
গতানুগতিক প্রোস্টেট ক্যান্সার চিকিৎসাসমূহ
১। বর্তমান সময়ে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ের সর্বসাধারণ পদ্ধতি হলো অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রোস্টেট বা এর একটি অংশ মেটাস্টাসিস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
২। অন্তঃস্থ ও বহিঃস্থ রেডিয়েশনের সমন্বয়ে রেডিওথেরাপি গঠিত হয়। অন্তঃস্থ রেডিয়েশন সাধারণত প্রোস্ট্যাটেকটোমি অথবা পেলভিক লিম্ফাডেনেকটোমি দ্বারা গঠিত। কিছু ক্ষেত্রে সাধারন রেডিয়েশন বোন মেটাস্টাসিস থেকে উদ্ভুত ব্যাথার নিরাময় সাধন করতে পারে এবং ক্ষত সারাতে পারে।
৩। কেমোথেরাপি হলো কেমিক্যাল ব্যবহার করে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ধারাবাহিক চিকিৎসা, যেটা কার্যকরভাবে ক্যান্সার কোষের বিস্তার এবং মেটাস্টাসিস হওয়া থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।
৪। অন্যদিকে, গতানুগতিক চাইনিজ ঔষধগুলো কার্যকরভাবে ক্যান্সার কোষগুলো মেরে ফেলতে সক্ষম। সেইসাথে এটা রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি সাধন করে যা আরও ভাল আরোগ্যের দিকে নিয়ে যায়।
বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপি
বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপি, যার অন্য নাম অটোইমিউন কোষ থেরাপি, তার কাজ হলো টিউমার, ডিসি এবং সিআইকে মনোসাইটের বিপরীতের বিশেষ কোষগুলোকে মানবদেহের প্রান্তস্থ রক্ত থেকে আলাদা করা এবং ল্যাবরেটরীতে কোষ কালচার ও প্রলিফিরেশন এর পর আবার তাদের রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা। এটা টিউমার কোষকে মেরে ফেলে এবং মেটাস্টাসিস হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটা আরও যে সুবিধা দেয় তা হলো - এটা সহজ মেটাস্টাসিস, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং আরও যে তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে (অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপি) তার ঘাটতি পূরণ করে।
প্রোস্টেট ক্যান্সার চিকিৎসায় বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপির সুবিধা
১। অস্ত্রোপচার এবং রেডিওথেরাপির সময় রয়ে যাওয়া ক্ষত অথবা ক্যান্সার কোষকে এটা কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে পারে।
২। রেডিওথেরাপির রোগীর সংবেদনশীলতা বাড়ায়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায় এবং কেমোথেরাপির আরোগ্য প্রভাব উন্নত করে।
৩। ইমিউনিটি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সোমাটোসাইট মেরামত করে রোগীর জীবনের মানোন্নয়ন করে।
৪। যে সমস্ত রোগীরা শেষ ধাপে আছেন অথবা অস্ত্রোপচার করার অবস্থা নেই অথবা রিকারেন্স ও মেটাস্টাসিস হয়েছে, এটা তাদের খুব দ্রুত রোগশয্যার লক্ষণ থেকে মুক্তি দিবে। অনেক রোগীই চিকিত্সামূলক ফলপ্রসূতা পাবেন যেমন টিউমার কমে যাওয়া বা টিউমার নিয়ে অনেকদিন বেচে থাকা।
মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংঝু এর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, সর্বোত্তম আরোগ্য পেতে হলে চিকিৎসা শুধু লোকাল চিকিৎসা বা শুধুমাত্র একটি চিকিৎসার উপর নির্ভর করলে হবে না। তাকে অনেকগুলো চিকিৎসা করাতে হবে, যেমন - অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, গতানুগতিক চাইনিজ ঔষধ, ন্যূনতমরূপে আক্রমণকারী চিকিৎসা এবং আরও অনেক কিছু একত্রে এবং তা অবশ্যই রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে।
scrollTop