মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শনুযায়ী ন্যাসোফেরিঞ্জেল ক্যান্সার চিকিৎসায় কোন স্থানীয় বা একক চিকিৎসা প্রয়োগ না করে বিভিন্ন চিকিৎসা যেমন সার্জারি,রেডিয়েশন থেরাপি,কেমোথেরাপি এবং মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ থেরাপি দিয়ে সবচেয়ে ভাল চিকিৎসামূলক প্রভাব পাওয়া যায়।
শুধুমাত্র উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীদের সুস্থ করা যায়।নিম্নে মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ বিশেষজ্ঞদের মতনুযায়ী ন্যাসোফেরিঞ্জেল ক্যান্সার চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
সার্জারিঃ
ন্যাসোফেরিঙ্কস পর্দার সামনে ও পিছনের দিকে ক্ষত থাকলে;সেল কার্সিনোমা,এডিনোকার্সিনোমা ও অন্যান্য ক্যান্সার টিউমার রেডিয়েশন থেরাপি অনুপযোগী হলে এবং সার্জারি করা না হলে; এক্ষেত্রে সার্জারি করে প্রাথমিকভাবে ক্ষতটিকে রিসেকসন করা যায়।
ন্যাসোফেরিন্স পর্দার সামনে ও পিছনে অথবা ঘাড়ে রেডিয়েশন থেরাপি নেওয়ার পরও ক্ষত সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা না গেলে অথবা পুনরায় দেখা দিলে এক্ষেত্রে হাড়ের কোন ক্ষতি সাধন না করে ক্ষতটিকে সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা যায়।
রোগীদের ক্ষত স্থায়ী থাকলে অথবা পুনরায় নির্দিষ্ট জায়গা থেকে স্থানান্তরযোগ্য হলে এইসব ক্ষেত্রে রোগীরা তাদের ঘাড়ের লিম্ফ নোডগুলো অপসারণ করতে পারে।
রেডিয়েশন থেরাপি
রেডিয়েশন থেরাপি ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি পছন্দময় চিকিত্সা পদ্ধতি। এর সাহায্যে দ্রুত ক্যান্সার কোষগুলোকে ধবংস করা হয়।এ চিকিত্সায় কাছাকাছি স্বাভাবিক টিস্যুতে অথবা শরীরে প্রভাবিত হতে পারে।এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে যেমনঃক্লান্তিবোধ, মাথা ঘোরা,ক্ষুধামন্দা,বমি বমি ভাব,বমি,অরুচি,অনিদ্রা অথবা হাইপারসোমনিয়া ইত্যাদি। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মাত্রা বিভিন্ন হওয়ায় এগুলো চিকিত্সার মাধ্যমে সারানো যেতে পারে। সুতরাং, রেডিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়।
কেমোথেরাপিঃ
ন্যাসোফেরিঞ্জেল ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিওয়েশন থেরাপি সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহ্নত হয়। এ চিকিৎসায় বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ও ঔষধের সঙ্গে সংমিশ্রন করে দেওয়া হয় যার ফলে টিউমার সঙ্কুচিত হয় অথবা ছোট ক্ষতগুলো অপসারণ করা হয়। এভাবে রেডিওয়েশন থেরাপি চিকিত্সার প্রভাবকে উন্নত করে।
মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ টারগেটেড থেরাপিঃ
ন্যাসোফেরিঞ্জেল ক্যান্সার চিকিৎসায় বর্তমানে মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ টারগেটেড থেরাপি সবচেয়ে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি।মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ চিকিৎসায় কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন সময় উপযোগী চিকিৎসা, পুনরায় প্রয়োগকৃত,কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পন্ন, নির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্পাদন করা এবং দ্রুত সুস্থ্য হওয়া ইত্যাদি।এর সুস্পস্ট প্রভাব থাকায় রোগীর জীবন মান বৃদ্ধি পায়।