আমাদের শরীর বিভিন্ন ছোট ছোট কোষ নিয়ে গঠিত যাদেরকে লিম্ব সেল বলা হয়।লিম্ব সেল শরীরের পুরনো ও নষ্ট সেলগুলো পরিষ্কার করে দেহকে সুস্বাস্থ্য করে।লিম্ব সেলের কার্যবলীকে কখনও অস্বীকার করা যায় না।শরীরের লিম্ব সেল জীবনের শেষ মুহুর্ত্ব পর্যন্ত কাজ করে।লিম্ব সেল ম্যালিগন্যান্ট টিউমার লিম্ফোমায় পরিণত হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
বিভিন্ন ধরণের সমন্বয় থেরাপিঃটিউমারের বিভিন্ন ধরণ,উপসর্গ এবং পর্যায়ের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা নির্ধারণ করা উচিত। এছাড়াও চিকিৎসা পদ্ধতি টিউমার সেল ধবংস,শরীরকে নিয়ন্ত্রন এবং জীবন মান উন্নত করার উপরও লক্ষ্য রাখা হয়।ম্যালিগন্যান্ট লিম্ফোমার বর্তমান সময়ের কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি দেওয়া হলঃ সার্জারি,রেডিওথেরাপি,কেমোথেরাপি এবং ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি। ম্যালিগন্যান্ট লিম্ফোমায় সার্জারি এবং কেমোথেরাপি যৌথভাবে প্রয়োগ করে ভাল চিকিৎসামূলক ফলাফল পাওয়া যায়।ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।এছাড়াও রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপির বিষাক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমিয়ে চিকিৎসার কার্যকারীতাকে বৃদ্ধি করে।
সার্জারি: ম্যালিগন্যান্ট লিম্ফোমা যদি মস্তিষ্কে,চোখে,লালাগ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি, ফুসফুস, যকৃত এবং প্লীহায় হলে সাধারণভাবে সার্জারি করা উচিত । এছাড়াও এর রেডিওথেরাপি অথবা কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা যায়। ম্যালিগন্যান্ট লিম্ফোমা কিডনি, মূত্রথলি, শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়, জরায়ু, ত্বকে, মামারি গ্ল্যান্ডে হলে প্রাথমিক পর্যায়ে সার্জারি করার পরে রেডিওথেরাপি অথবা কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা যায়।
রেডিওথেরাপি
হজগিন লিম্ফোমাঃশরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে সুরুক্ষার জন্য Y রেডিয়েশন প্রয়োগ করা যায়।
নন হজগিন লিম্ফোমা:এই ধরণের লিম্ফোমা রেডিওথেরাপির জন্য সংবেদনশীল এবং পুনরায় ঘটতে পারে।টনসিল,গলায় এবং হাড়ের টিস্যুতে নন হজগিন লিম্ফোমা প্রাথমিকভাবে থাকলে রেডিওথেরাপি দিয়ে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
কেমোথেরাপি
এর সাহায্যে নির্দিষ্ট সময়ে লিম্ফোমা সেলের পরিমাণ এবং বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রন করা হয়।
রোগীর লিম্ফোমার উপসর্গগুলোর সাথে ব্যথা কমানো হয়।
কেমোথেরাপি প্রয়োগ করে লিম্ফোমা সেলের বৃদ্ধি কমানোর সাথে সাথে কিছু নির্দিষ্ট সেল ধবংস করা হয়।
কেমোথেরাপি লিম্ফোমা সার্জারি অথবা রেডিওথেরাপির সাথে প্রয়োগ করে চিকিৎসামূলক প্রভাবকে উন্নত করা হয়।
ইম্যুনোথেরাপি:ইম্যুনোথেরাপির সাহায্যে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে টিউমারের বৃদ্ধিকে রোধ এবং ধবংস করা হয়।
ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনঃ
ম্যালিগন্যান্ট লিম্ফোমা চিকিৎসায় ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।লিম্ফোমা রোগীদের ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন প্রয়োগ করে শরীরের বিষ কমিয়ে চিকিৎসার কার্যকারীতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়।ম্যালিগন্যান্ট লিম্ফোমা চিকিৎসায় শুধু ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন ব্যবহার করে টিউমারগুলোকে দমন করে উপসর্গগুলো কমানো হয়। এতে রোগীর শারীরিক উন্নতি এবং জীবনমান বৃদ্ধি করা হয়।
ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন শুধুমাত্র লিম্ফোমা রোগীর আক্রান্ত স্থানে নয় বরং পুরো শরীরে কাজ করে। ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন শরীর নিয়ন্ত্রন, ভারসাম্য, ক্যান্সারের পুনর্জন্ম এবং ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে।ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন চিকিৎসায় স্বাভাবিক সেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়।এছাড়াও রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দ্রুত সুস্থ করা হয়।
ম্যালিগন্যান্ট লিম্ফোমা রোগী দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ না করলে ৬-১২ মাসের মধ্যে মারা যেতে পারে। ক্যান্সার তাড়াতাড়ি নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসামূলক প্রভাব উন্নত হওয়ার সাথে সাথে জীবনমান বৃদ্ধি পায়।