তাড়াতাড়ি ক্যান্সার নির্ণয় এবং চিকিৎসা সেবা নেওয়ার মাধ্যমে কিডনি ক্যান্সারের রোগীরা তাদের নিজেদের অবস্থা নিয়ন্ত্রন করতে পারে।কিডনি ক্যান্সার চিকিৎসায় চাইনিজ অথবা ওয়েস্টার্ণ মেডিসিনের মধ্যে বেশী উপযোগী পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয় । কিডনি ক্যান্সারের বিভিন্ন চিকিত্সা পদ্ধতির মধ্যে সার্জারি, রেডিওথেরাপি , কেমোথেরাপি, ইম্যুনোথেরাপি,ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন অথবা এইসব সমন্বয় চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
কিডনি ক্যান্সারের সার্জারি:
ক. নেফ্রেকটমি: এই সার্জারি সমগ্র কিডনি , অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং কিডনির চারপাশের মেদ টিস্যু, সেইসাথে কাছাকাছি লিম্ফ নোড অপসারণ করা হয়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের একটি কিডনির উপর নির্ভর করতে হয়।
খ লিম্ফ নোড ডিসেকসন : ক্যান্সার লিম্ফ নোডে ছড়িয়ে গেলে সার্জারির সময় ডাক্তাররা লিম্ফ নোড অপসারণ করেন।
পার্সিয়াল নেফ্রেকটমি : টিউমার আক্রান্ত কিডনির টিস্যুগুলোকে সরিয়ে ফেলা হয়।
মেটাসটেসিস এর রিজেকশন: স্থানান্তরিত টিউমারকে সরিয়ে ফেলা হয় যাতে রোগীর ব্যথা এবং উপসর্গ মুক্ত হতে পারে।
গ্রীন কেমোথেরাপি: রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধবংস এবং টিউমার কোষ বৃদ্ধি ও পুর্নজন্ম হতে নষ্ট করা হয়। প্রথাগত কেমোথেরাপি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে এবং স্বাভাবিক টিস্যু কোষের ক্ষতি করতে পারে।যদিও, প্রথাগত কেমোথেরাপির সাহায্যে স্বল্প সময়ে এর সুবিধাগুলো পাওয়া যায় ।ফলস্বরূপ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমিয়ে মানব দেহের ক্ষতি কমানো হয়।
রেডিওথেরাপি : রেডিওথেরাপির রশ্মি যেমন এক্স রে , ওয়াই রে এবং বৈদ্যুতিক বিম ব্যবহার করে; রেডিয়েশনের বায়োলজিক্যাল প্রভাবের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ ধবংস এবং ক্যান্সার আক্রান্ত টিস্যুগুলো নষ্ট করা হয়। রেডিওথেরাপি সহায়ক চিকিত্সা হিসাবে কিডনি চিকিৎসার সার্জারির আগে এবং পরে ;সেইসাথে মেটাস্ট্যাটিক কিডনি ক্যান্সার দ্বারা সৃষ্ট উপসর্গগুলো এবং রোগীর ব্যথা কমাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ইম্যুনোথেরাপি :এই চিকিত্সার কৌশল হল স্বাভাবিক কোষ দিয়ে ক্যান্সার কোষের প্রাণনাশ করা। প্রথমতঃ ভিট্রো কালচার সমৃদ্ধ মননুক্লিয়ার কোষ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে, মননুক্লিয়ার কোষকে ডেনড্রিটিক কোষে (ডিসি) রূপান্তর এবং বিভাজন করা হয়। সর্বশেষে, অ্যান্টিজেন-শাণিত ডিসির সাথে সিআইকে সমন্বয় করে টিউমার ধবংসকারক হিসেবে তৈরি করা হয়।ডিসি এবং সি আই কে কোষ একসাথে গঠন করে টিউমার ধবংসকারী সেল গ্রুপে পরিণত করা হয়।
চাইনিজ মেডিসিন চিকিৎসা পদ্ধতি ঃএডভান্সড বা পরিণত পর্যায়ের ক্যান্সার রোগীদের দুইভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।প্রথমত কিডনি ক্যান্সারের সংক্রামক উপসর্গগুলোকে অপসারণ করা এবং দ্বিতীয়ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।চাইনিজ মেডিসিন একটি বহুল ব্যবহ্নত চিকিৎসা পদ্ধতি।এই চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে রোগীর দেহকে শক্তিশালী করা হয়।চীনে চাইনিজ মেডিসিন একটি অনন্য চিকিৎসা পদ্ধতি।এক্ষেত্রে চাইনিজ মেডিসিন কিডনি ক্যান্সার রোগীদের ব্যথা কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শনুযায়ী ক্যান্সার পর্যায় নির্ণয় করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট চিকিত্সা পরিকল্পনা করা হয়।ক্যান্সারের পর্যায় এবং রোগীদের অবস্থানুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়াও চিকিৎসা নির্বাচনের মাধ্যমে রোগীদের জীবন হার বৃদ্ধি এবং ক্যান্সারের উপসর্গ কমানো যায়।