অন্ত্রের ক্যান্সারের চিকিৎসা
অন্ত্রের ক্যান্সারের অনেক রকমের চিকিৎসা আছে একারনেই রোগীর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতিটি নির্বাচন করা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
অন্ত্রের ক্যান্সার মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়। এই ক্যান্সার সম্পর্কে জানা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ কেননা আগে থেকে জানা থাকলে চিকিৎসা গ্রহনে সুবিধা হয়। এই ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা কোনটি, নিম্নে এই বিষয়েই মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর চিকিৎসকরা বর্ণনা করেছেন।
১. সার্জারিঃ প্রাথমিক পর্যায়ের অন্ত্রের ক্যান্সারের জন্য সার্জারি বেশী ব্যবহার করা হয়। অনেক ধরণের সার্জারি রয়েছে যেমন র্যাডিকাল রিসেকশন, লোকাল রিসেকশন, প্যালিয়েটিভ টিউমার রেসেকশন, ইনটেস্টিনিয়াল সেগমেন্ট রিসেকশন এবং সংলগ্ন প্রত্যঙ্গগুলোর কম্বাইন্ড রিসেকশন। সার্জারির পর অনেক সময় ক্যান্সার সেল থেকে যেতে পারে যা থেকে পরবর্তীতে আবার ক্যান্সার হতে পারে।
২. রেডিওথেরাপিঃ এটি সাধারণত সার্জারির পড়ে ব্যবহার করা হয় যাতে কোন ক্যান্সার সেল থেকে গেলে তা ধ্বংস হয়ে যায়।
৩. কেমোথেরাপিঃ এটি ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সার্জারির পর ব্যবহার করা হয়। তবে কেমোথেরাপির অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।
অন্ত্রের ক্যান্সারের জন্য বিভিন্ন সূক্ষ্ম আক্রমণকারী থেরাপি সমূহঃ
১. বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপিঃ এটি সব ধরণের টিউমারের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায় এবং এর সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, ব্যথামুক্ত ফলে হসপিটালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়না। এই থেরাপিটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির পর শরীরে থেকে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থকেও দূর করে দেয় ফলে রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
২. টি.সি.এম থেরাপিঃ টি.সি.এম বা ট্রেডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন শরীরে ভারসাম্য বজায় রেখে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে। মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ বিভিন্ন আধুনিক ক্যান্সার প্রযুক্তির সাথে ট্রেডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনও ব্যবহার করে যার ফলে পাশ্চাত্য মেডিসিন এর সাথে ট্রেডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন এর সমন্বয় চিকিৎসাকে আরও কার্যকর করে তোলে। ক্যান্সার চিকিৎসায় চাইনিজ মেডিসিন বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয় যেমন শরীরের অভ্যন্তরে শিরা বা ধমনীর মাধ্যমে প্রবেশ করিয়ে, ইনহেইলার হিসেবে, আকু পয়েন্টে ইনজেকশন থেরাপির মাধ্যমে, ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে প্রভৃতি। এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত।
৩. জিন টার্গেটেড থেরাপিঃ এই থেরাপিতে ব্যবহৃত মেডিসিন নিজেই ক্যান্সারের জায়গা সনাক্ত করে সেখানে কাজ করে এবং এতে আশে পাশের স্বাভাবিক টিস্যুগুলো কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। গতানুগতিক থেরাপি গুলো থেকে এই থেরাপি অনেক নিরাপদ এবং এর কার্যকারিতাও বেশী।
মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর ক্যান্সার এক্সপার্টদের বার্তাঃ অন্ত্রের ক্যান্সারের অনেক ধরণের ট্রিটমেন্ট আছে তবে কোন ট্রিটমেন্টটি দেওয়া হবে তা নির্ভর করে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং ক্যান্সার কোন পর্যায়ে আছে তার উপর।
scrollTop