কোলন ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে খুব প্রভাব বিস্তার করে।তাই বর্তমানে এডভান্সড বা পরিণত পর্যায়ের রোগীদের দ্রুত সুস্থ ও রোগমুক্ত করার জন্য সার্জারি,কেমোথেরাপি এবং সেল ইমিউনিটি থেরাপি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
প্রচলিত চিকিৎসা
সার্জারি
সার্জারি সাধারণত অপসারণ করার উপর জোর দিয়ে থাকে।সার্জারির পূর্বে রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপি যৌথভাবে প্রয়োগ করে সার্জারিকে আরও ফলপ্রসূ করা হয়।এতে সার্জারি করার পরে রোগীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায় এবং কোলন ক্যান্সার পুনরায় হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
কেমোথেরাপি
কোলন ক্যান্সারের বেশীরভাগ রোগীদের সার্জারির পরে ক্যান্সার পুনরায় সৃষ্টি অথবা ছড়িয়ে যেতে পারে।শরীরে কোন অংশ অপসারণ ছাড়া প্রাথমিক পর্যায় অথবা শেষ পর্যায়ের ক্যান্সার রোগীরা সরাসরি কেমোথেরাপি নিতে পারেন।কোলন ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
রক্তের শিরার সাহায্যে কেমোথেরাপি চিকিৎসা
কোলন ক্যান্সারে কেমোথেরাপি চিকিৎসায় রক্তের শিরার সাহায্যে ৫-ফু-টেট্রাহাইড্র–ফলিক এসিড একটি কন্ডিশনার এজেন্ট হিসাবে হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা কেমথেরাপির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মুখের সাহায্যে কেমোথেরাপি চিকিৎসা
ওরাল কেমোথেরাপিতে ফ্লুরোপাইরিমাইডিন নামক এক ধরণের ওষুধ ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় যা নেওয়ার পর বিভাজনের মাধ্যমে ৫-ফ্লুরোউরাসিলে পরিণত হয়। এ ওষুধ একের অধিকবার ব্যবহার করা যেতে পারে।ওরাল কেমোথেরাপি, চিকিৎসার প্রভাবকে ফলপ্রসূ করে এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।এছাড়াও যেসব রোগীদের কোন চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় না তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি বিশেষ উপযোগী।এছাড়াও দীর্ঘদিন টিউমার এবং সাধারণ কেমোথেরাপি নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে এ নতুন পদ্ধতি ভাল কাজ করে।
আধুনিক প্রযুক্তি-সেল ইমিউনিটি থেরাপি
নতুন প্রযুক্তি বিকাশের সাথে সাথে বিভিন্ন বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির আর্বিভাব ঘটছে ।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে সেল ইমিউনিটি থেরাপি টিউমার ক্যান্সার চিকিৎসায় অসমান্য সাফল্য লাভ করছে ।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ বিশেষজ্ঞগনের মতে ‘সেল ইম্যুনোথেরাপি’ তে রোগীর দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তের মধ্যে টি লিম্ব কোষ এবং অন্যান্য টিউমার ধ্বংসকারী কোষ নির্ণয় করা হয়। এইসব কোষ সক্রিয় ভাবে পুনরায় সৃষ্টি হতে পারে এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয়ে থাকে।যখন কোষগুলোর ইমিনিউটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যাপ্ত হয় তখন রক্তের শিরার মাধ্যমে তা প্রবেশ করানো হয়।এই কোষগুলোই ক্যান্সার ধ্বংস করাসহ মানবদেহে টিউমার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।অতএব ‘সেল ইম্যুনোথেরাপি’ ক্যান্সার নিরাময়ের একটি অত্যাধুনিক চিকিত্সা পদ্ধতি।
সেল ইম্যুনোথেরাপির বিভিন্ন উপকারিতাঃ
সেল ইম্যুনোথেরাপি শরীরে ইম্যুনোলজিক সেল (ডিসি-সি আই কে) গঠন করে রোগীর এন্টিটিউমার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং টিউমার সেলগুলোকে ধবংস করে।এভাবে সেল ইম্যুনোথেরাপির সাহায্যে ক্যান্সার নিরাময় করা হয়।
প্রধানত দুই ধরণের উপকারিতা ঃ
প্রথমত, রোগীর নির্দিষ্ট জায়গায় নয় বরং পুরো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
দ্বিতীয়ত, সেল ইম্যুনোথেরাপি সম্পূর্ণভাবে ক্যান্সার সেলগুলো অপসারণ করায় ক্যান্সার পুনরায় হওয়া বা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।