গর্ভাশয় ক্যান্সার একটি সাধারণ ম্যালিগনেন্ট টিউমার যা মহিলাদের যৌনাঙ্গ এবং গর্ভাশয় নালী থেকে উৎপত্তি হয়। এর ম্যালিগন্যান্সি মাত্রা অনেক বেশি এবংলক্ষনীয় যে গর্ভাশয় ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে প্রায় ৭০% এ্যাডভান্সড/পরিণত পর্যায়ে চলে যায়।তাছাড়া, গর্ভাশয় ক্যান্সারের প্রকোপ হার অনেক বেশি, তাই প্রাথমিক স্তরে নির্ণয় ও তাড়াতাড়ি চিকিত্সা সম্পন্ন করে এর বিস্তার রোধ করা উচিত।
গর্ভাশয় ক্যান্সার চিকিত্সার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সার্জারি রিসেকশন, চাইনিজ এবং ওয়েস্টার্ণ মেডিসিনের সমন্বয়, রেডিওথেরাপি,কেমোথেরাপি ইত্যাদি।
কিন্তু চিকিত্সার আগে কিছু বিষয় যেমন চিকিত্সার ধরণ,টিউমারের আকার, পর্যায়, রোগীর বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা ইত্যাদি নির্বাচন করা আবশ্যক।
বর্তমানে গর্ভাশয় ক্যান্সার চিকিত্সায় সার্জারি এবং রেডিওথেরাপি ব্যবহ্নত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের সার্ভিকাল ক্যান্সার রোগীদের জন্য সার্জারি প্রযোজ্য।সার্জারির রের্ডিক্যাল হিসট্রেকটমি বলতে ভাজিনার অংশ সরিয়ে ফেলা,প্যারামেট্রিয়াম এবং বিলাটেরাল পেলভিক লিম্ব নোড বোঝায়।রোগীর ওভারিতে কোন ক্ষত না থাকলে উপরোক্ত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো করতে হয় না । সার্জারির সুবিধা হল প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে স্বল্প সময়ের চিকিত্সায় সারানো যায়। সার্জারির পরে আক্রান্ত অঞ্চলটি চওড়া হওয়ার কারণে মূত্রত্যাগে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।এক্ষেত্রে রোগীর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
সার্ভিকাল ক্যান্সারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে পরিণত পর্যায়েও রেডিওথেরাপি প্রয়োগ করা যায়।সার্জারির জন্য অনুপযোগী, বয়স্ক এবং দুর্বল হার্ট রোগীদের ক্ষেত্রে রেডিওথেরাপি একটি ভালো চিকিত্সা। যাইহোক, রেডিওথেরাপি চিকিত্সায় কিছু জটিলতা হতে পারে প্রধানত রেডিয়েশন রেকটিটিস এবং সিস্টিতাস।রোগী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা নেওয়া আবশ্যক।
রেডিওথেরাপির মধ্যে রেডিওঅ্যাকটিভ পার্টিকেল থেরাপি সার্ভিকাল ক্যান্সার চিকিত্সার জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। সারভিক্যাল ক্যান্সারে রেডিওয়েশন বেশি সংবেদনশীল হওয়ায় প্রাথমিক বা এডভান্সড পর্যায়ে ভাল চিকিত্সামূলক ফল পায়।রেডিওএকটিভ পার্টিকেল থেরাপির সাহায্যে সিটি অথবা বি আলট্রাসাউন্ডের নির্দেশনুযায়ী টিউমারের ভিতরে রেডিওঅ্যাকটিভ পার্টিকেল স্থাপন করা হয়। এই পার্টিকেল রেডিয়েশন ক্রমাগত বিকিরণ করে টিউমারকে ধবংস এবং বিস্তার রোধ করে।
সার্ভিকাল ক্যান্সারে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। সুতরাং রোগীদের কখনই আশা ছেড়ে না দিয়ে শুধুমাত্র ডাক্তার সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতা এবংসঠিক চিকিত্সা পদ্ধতি নির্বাচন করে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব ।