পাকস্থলীর ক্যান্সার
পিনাইল ক্যান্সার পুরুষ প্রজননতন্ত্রে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আকারে হয় । এটি সাধারণত স্কয়ামাস ক্যান্সার এবং বেইজাল সেল ক্যান্সার হিসেবে প্রকাশ পায় । এডিনোকারসিননোমা হিসেবে এর বহিঃপ্রকাশ খুবই বিরল । এর প্রধান উপসর্গ গুলোর মধ্যে রয়েছে- পুরুষ লিঙ্গের আবরণ ত্বকের সংকোচনহীনতা, ঘা হওয়া প্রভৃতি ।
পিনাইল ক্যান্সারের হারঃ
সাধারণত ৬০ বা এর কাছাকাছি বয়সের পুরুষদের মধ্যে এটি বেশী দেখা যায় । বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ঝুঁকিও বাড়তে থাকে । ৭০ বছর বয়স হল এই ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ । অল্প বয়সী পুরুষদেরও এই ক্যান্সার হতে পারে।
পিনাইল ক্যান্সার কেন হয়?
পিনাইল ক্যান্সারের স্পষ্ট কোন কারন পাওয়া যায় নি । রিডানড্যান্ট প্রিপিউস এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।
পিনাইল ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি ?
দীর্ঘদিন ধরে ঘা বা টিউমারের মত কিছু দেখা গেলে যা প্রথমদিকে শক্ত পিণ্ডের আকারে থাকতে পারে অথবা চুলকানি যুক্ত প্যাঁচ হিসেবে থাকে । অন্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে ফুলকপির মত টিউমার যা থেকে পুঁজ নির্গত হতে পারে । ক্যান্সার বিলম্বিত পর্যায়ে গেলে পুরো পুং লিঙ্গে এই লক্ষণ গুলো ছরিয়ে পড়ে এবং এরসাথে করপাস ক্যাভেরনোসাম ইউরেথ্রেই সহ লসিকাগ্রন্থি ফুলে ওঠা সহ অন্যান্য অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যেতে পারে ।
পিনাইল ক্যান্সার নিজে কিভাবে পরীক্ষা করবেন?
মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা পিনাইল ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো প্রাথমিক ভাবে নিজে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । যেহেতু লক্ষণগুলো স্পষ্ট সুতরাং কোন লক্ষণ দেখা মাত্রই রোগীকে দ্রুত হসপিটালে যোগাযোগ করতে হবে।
পিনাইল ক্যান্সার নির্ণয়ের কি কি পরীক্ষা আছে?
১) ইমেইজিং এর মাধ্যমে পরীক্ষা।
২) লিম্ফগ্রাফি এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ভাবে মেটাস্টাসিস সনাক্ত করা যায় কিন্তু এর পদ্ধতি গতানুগতিক পরীক্ষা গুলো থেকে ভিন্ন । এক্ষেত্রে ইনট্রালিম্ফাটিক এর রেডিও গ্রাফি ইনজেকশন পায়ের পাতার নিচে, পুং লিঙ্গে বা স্প্যারম্যাটিক কর্ড এ পুশ করা হয় । এর ফলে অস্বাভাবিক লসিকাগ্রন্থি, লসিকানালীতে ব্লক ইত্যাদি লক্ষণ মেটাস্টাসিস এর উপস্থিতি নির্দেশ করে ।
৩) আলট্রা সাউন্ড বি
৪)সি¬. টি./ এম. আর.আই
অন্যান্য পরীক্ষা ঃ
ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য কার্যকরী পরীক্ষাটি হল বায়প্সি। । এক্ষেত্রে আক্রান্ত অংশ থেকে টিস্যু কেটে নিয়ে তা পরীক্ষা করা হয় । অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে ক্যান্সার সনাক্ত করার পর ক্যান্সারের বিস্তার কতদূর হয়েছে তা বায়প্সির মাধ্যমে জানা যায়।এটি চিকিৎসকদের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান তৈরিতে সাহায্য করে ।
পিনাইল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বায়প্সির ভূমিকা কি ঃ
পুংলিঙ্গের স্কয়ামাস সেল কার্সিনোমা নির্ণয়ে বায়প্সি একটি মান সম্মত পরীক্ষা। বায়প্সির মাধ্যমে ক্যান্সারের ধরণ ও পর্যায় সম্পর্কে জানা যায় । বড় টিউমার গুলোর ক্ষেত্রে অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে সহজে ক্যান্সার সনাক্ত করা গেলেও পাশাপাশি বায়প্সি করা হলে ক্যান্সারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সুবিধা হয়।
কিভাবে পিনাইল ক্যান্সার ছড়ায় ?
পিনাইল ক্যান্সার অত্যন্ত গুরুতর একটি ক্যান্সার। এটি এক ধরনের ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার যা পুরুষদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয় । প্রাথমিক অবস্থায় এই ক্যান্সার সনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা গেলে এর বিস্তার রোধ করা যায় ।
নিম্নলিখিত ভাবে এই ক্যান্সার ছড়ায়ঃ
১) লোকাল স্প্রেড ঃ পিনাইল ক্যান্সার উৎস স্থান থেকে মূত্রনালি, পেটের নিম্ন প্রাচীর প্রভৃতি স্থানে ছড়িয়ে পড়ে ।
২) লিম্ফ স্প্রেডঃ ইনগুইনাল লিম্ফ নোডে পিনাইল ক্যান্সার মেটাস্টাসিস সাধারণত বেশী হয়ে থাকে ।
৩) রক্তের মাধ্যমেঃ রক্তের মাধ্যমেও এই ক্যান্সার ফুসফুস, হাড় এবং মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে
পিনাইল ক্যান্সারের চিকিৎসা কি ?
১) সার্জারি ঃ প্রাথমিক পর্যায়ে পিনাইল টিউমার ছোট থাকে বিধায় সার্জারির মাধ্যমে কেটে ফেলা সম্ভব ।
২) কেমোথেরাপিঃ এক্ষেত্রে কেমোথেরাপিও ভাল ফল দেয় এবং সার্জারির সাথে এটা ব্যবহার করলে আর কার্যকর ফল পাওয়া যায় ।
৩) রেডিও থেরাপিঃ পিনাইল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সার্জারির পরবর্তী ট্রিটমেন্ট হিসেবে রেডিও থেরাপি দেওয়া হলে ভাল ফল পাওয়া যায় ।
পিনাইল ক্যান্সারের চিকিৎসায় ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন এর ব্যবহার ঃ
গবেষণায় প্রমাণিত যে ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে । ওয়েস্টার্ন মেডিসিনের সাথে ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনের ব্যবহার ক্যান্সার চিকিৎসা কে আরও কার্যকর করে তোলে এবং কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপির মাধ্যমে সৃষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দূরীকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
অপারেশনের পর রোগীর কি কি যত্ন নিতে হবে ?
১) অপারেশনের এক সপ্তাহ পরঃ অপারেশনের পর ইনফেকশন, রক্তক্ষরণ প্রভৃতি এড়াতে রোগীকে মল ত্যাগের সময় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
২) খাদ্যাভ্যাস ঃ সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে এবং কিছু খাবার যেমন পশুপাখির প্রত্যঙ্গ,অতিরিক্ত জিংক যুক্ত খাবার যেমন ওয়েস্টার, বীফ, ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন চিংড়ি মাছ, বিন,এছাড়াও কই মাছ, বাইন মাছ ইত্যাদি খাবার পরিহার করতে হবে।
৩) ইনফেকশন এড়াতেঃ এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের এর সাথে ড্রেসিং এর স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রসাব করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ড্রেসিং এর স্থানটি যাতে ভিজে না যায়। ভিজে গেলে সেক্ষেত্রে নতুন ড্রেসিং দিতে হবে।
৪) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার ঃ অপারেশনের পর পুং লিঙ্গ আংশিক বা পুরোপুরি কেটে ফেলা হতে পারে। সুতরাং রোগীরা মানসিক ভাবে অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়তে পারেনেবং আত্মবিশ্বাস হারাতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদের সঙ্গীদেরকে সবসময় তাদের পাশে থেকে মনে সাহস যোগাতে হবে ।
আমরা কি ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকি?
বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যেসব হসপিটাল এ মাল্টিপল ডিসিপ্লিন থাকে যেমন অঙ্কসার্জারি , অঙ্কলজি, প্যাথলজি, ইমেইজলজি ইত্যাদি সহ এনেস্থেশিয়ার ডাক্তার এবং অভিজ্ঞ নার্স থাকে তাদের চিকিৎসা ব্যাবস্থা অত্যন্ত উন্নত, সাশ্রয়ী, উপযুক্ত ও কার্যকর হয়।
মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর “ওয়ান স্টপ” মেডিকেল সিস্টেম এ রয়েছে একাধিক মেডিকেল বিভাগের সমন্বয় যা রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন সময় এ রোগ নির্ণয়ের সুবিধা প্রদান করে। এর ফলে ডায়াগনোসিস বা রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীকে কোন ঝামেলায় পড়তে হয়না। সুতরাং একদিকে এটি যেমন উন্নত ও আন্তরিক সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে তেমনি অন্য দিকে এটি চিকিৎসার কার্যকারিতা ও মান নিশ্চিত করে। ডাক্তারদের সাথে রোগীরা যাতে সহজে যোগাযোগ করতে পারেন সেজন্য এখানে বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে যেমন অনলাইন কন্সালটেশন, ই-মেইল, টেলিফোন কনভারসেশন, ফেইস টু ফেইস বা সরাসরি কন্সালটেশন এর সুবিধা। একজন ক্যান্সার রোগীকে এই ধরনের সেবা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকে। এখানকার মেডিকেল টিম বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, পুষ্টিবিদ,অনুবাদক প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত যাতে যে কোন দেশের যে কোন পর্যায়ের রোগীকে আন্তরিক সেবা দেয়া সম্ভব হয়। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ডাক্তার এবং হসপিটাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনরূপ বাধা না থাকায় রোগীরা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
scrollTop