চোখের কান্সার কি ?
চোখে টিউমার খুব কম হয়, তাদের বেশিরভাগই ম্যালিগন্যান্ট, যা প্রায়ই বলা হয় চক্ষু ক্যান্সার।
বিভিন্ন মতে, চোখের কান্সার প্রধানত ধরা পড়ে চোখের পাতার টিউমার ও চোখের ভেতরের টিউমার ইত্যাদি থেকে। চোখের কান্সার প্রথমে এক চোখে হয় তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন বয়সের সঙ্গে, রোগের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
চোখের কান্সার হবার কারণ
আই ক্যান্সার প্রায়ই উত্তরাধিকার বা রোগীর জেনেটিক কারণে হয়।অন্যান্য আরও কিছু কারণ আছে । যেমন দীর্ঘ সময় সূর্যালোকে থাকা , বিশেষভাবে শক্তিশালী অতিবেগুনির প্রভাব, অপুষ্টি ইত্যাদি।
চোখের কান্সারের লক্ষণ এবং উপসর্গঃ
চোখের পাতায় কান্সার এর উপসর্গ হিসেবে চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, চোখে কম দেখা, বেশি গুরুতর হলে চোখের পাতা ফোলা বা ডেলা বাধা এসব উপসর্গ দেখা যায়। চোখের ভেতরে কান্সারের জন্য রেটিনোব্লাস্টমা ও ছরইদাল অস্টেমা খুব সাধারণ। প্রধানত চোখের ভেতরে চাপ, চোখ ব্যথা, মাথাব্যথা, হাইপোপসিয়া ইত্যাদি উপসম হিসাবে দেখা দেয়। চোখের পাতার টিউমারের জন্য যেমন ল্যেক্রিমাল টিউমার এবং অপটিক গ্লিওম চোখের অশ্রু দ্বারা ব্যথা সৃষ্টি করে, চোখের মুভমেন্টে বাধা সৃষ্টি করে, দৃষ্টিশক্তি কমে যায় ইত্যাদি।
আপনি যদি চোখে ঝাপসা দেখেন এবং অস্বাভাবিক মনে হয় , আপনাকে অবিলম্বে হাসপাতালে একজন পেশাদার চক্ষু ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার জন্য যেতে হবে। প্রথমদিকে সনাক্তকরণ এবং তাড়াতাড়ি এর চিকিত্সা ক্যান্সার চিকিত্সার জন্য মৌলিক নীতি।
চক্ষু ক্যান্সারের জন্য রোগ নির্ণয় করার পদ্ধতি
যখন একজন রোগী ডাক্তারের কাছে যাবে তখন অবশই তিনি খুব আন্তরিক ভাবে রোগের ইতিহাস, রোগের নির্দিষ্ট স্থান, ইত্যাদি সকল সমস্যা ডাক্তার কে খুলে বলবে।
১। বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা: টিউমারের স্থান, আকার, আকৃতি, ধীরতা , আবেগপ্রবণতা এবং অস্থিরতার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি, আলসার আছে কিনা, গভীর বা পার্শ্ববর্তী টিস্যুর অবস্থা, চলাফেরা করতে পারে কিনা, চোখের পাতা এবং চোখের কক্ষপথ কাছাকাছি কোন শব্দ আছে কিনা তা পরীক্ষা করা, কাছে এবং দুরে কিভাবে দেখতে
পারে এগুলো ইত্যাদি বিষয়ে জানা । অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক ভাবে কান্সার সনাক্ত করা যায় ।
২। চাক্ষুষ তীক্ষ্নতা, দৃষ্টি অভিমুখ, চোখের মুভমেন্ট, প্রসারক ডিগ্রী, ইন্ট্রাকুলার চাপ, দৃষ্টি স্কন্ধ, এবং প্রয়োজন হলে স্কিরাল ট্রান্সলিমিনেশন বা রেডিও নিউক্লাইড ৩২P,বি টাইপ আলট্রাসাউন্ড চেক করা যেতে পারে।
৩। চোখের কক্ষপথের এক্সরে পরীক্ষা, সম্ভব হলে অরবিটাল ফ্লেবগ্রাফি, ম্যাগনেটিক রেসোনান্স ( এম আর আই ) করা যেতে পারে।
৪। পুরো শরীর পরীক্ষা করা প্রয়োজন হলে লিভার এবং কিডনি পরীক্ষা করা যেতে পারে।
৫। সম্ভব হলে টিস্যু পরীক্ষা করা যেতে পারে।
চোখের কান্সারের চিকিৎসা
অন্যান্য কান্সারের মতো চোখের কান্সারেরও চিকিৎসা হোল অপারেশন, রেডিও থেরাপি এবং ক্যামোথেরাপি ইত্যাদি ।
পরিচিত চিকিৎসা পদ্ধতি
১। অপারেশনঃ এটা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে পুরো টিউমার কে নিধন করা সম্ভব, এবং রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে অনেক সময় চোকের পুরো মণি ফেলে দিতে হয়।
২। ক্রায়োথেরাপিঃ এটাকে ক্রায়ো অপারেশনও বলা হয়। একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অপসারণ প্রযুক্তি। টিউমার কে ঠাণ্ডা করে ক্রমাগত হিটের মাধ্যমে টিউমারের কোষ কে ধংস করে, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়।
৩। রেডিওথেরাপিঃএই পদ্ধতিতে আলোকিত ক্যান্সার টিস্যুকে এক্স রে,ওআই রে, ইলেকট্রন বিম এসবের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়।
৪। ক্যামোথেরাপিঃ এর মাধ্যমে ক্যান্সার কোষকে বধ এবং তাদের বৃদ্ধি এবং বিস্তার বন্ধ করা যায় , কিন্তু কেমোথেরাপি এছাড়াও স্বাভাবিক কোষ এবং ইমিউনোলজিকাল কোষকেও বধ করে । এর ফলে বমি বমি ভাব এবং বমি সৃষ্ট এসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বর্তমানে স্থানিয় ক্লিনিকে রোগীর অবস্থা অনুসারে ক্যামোথেরাপি দেয়া হয়। আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল গুয়াংজৌ থেকে ক্লিনিকাল প্রমাণ অনুযায়ী,এই চিকিত্সায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না এছাড়াও ব্যাপকভাবে রোগীর অসস্থিকর ভাব প্রশমিত হয়।
জৈব ইমুনোথেরাপিঃ
জৈব ইমুনোথেরাপি হচ্ছে ইমিউনিটি টাইপ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে নতুন চিকিত্সা পদ্ধতি। জৈব ইমুনোথেরাপি পদ্ধতিতে রোগীর আক্রমনিত কোষগুলি পুনর্গঠন করে এবং রোগীর শরীরের মধ্যে সঞ্চারিত করে। এতে ক্যান্সার এর বিস্তার বন্ধ হয় এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা হয়।সকল ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করাই জৈব ইমুনোথেরাপির উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু অপারেশন , ক্যামোথেরাপি, রেডিওথেরাপি এর সাথে সমন্বয় করে কান্সারের রিওকারেন্স ও মেটাশটেমেট প্রতিরোধ করে রোগীর জীবনকে কিছুদিন দীর্ঘায়িত করে মাত্র।
সর্বাপেক্ষা কাম্য চিকিত্সাঃ রোগীর অবস্থা অনুসারে চোখের কান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি বিভিন্ন রকম। বর্তমানে এর চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে অপারেশন, রেডিওথেরাপি, ক্যামোথেরাপি। এর সাথে চাইনীজ ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন এবং পশ্চিমা মেডিসিন সমন্বয় করে চিকিৎসা হচ্ছে চোখের কান্সারের উপযোগী চিকিৎসা। চাইনীজ ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে ও রক্ত নিয়ন্ত্রণ করে, জৈব ইমুনোথেরাপি এর ফলাফল কে আরো বেশি কার্যকর করে। চাইনীজ ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন পশ্চিমা মেডিসিন এর সাথে সংযুক্ত হয়ে অপারেশন এর পর অথবা ক্যামোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি এর ফলে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় তা থেকে মুক্ত করে এবং রোগীর অবস্থার উন্নতি করে জীবনের মান উন্নত করে এবং রোগীর জীবনের আয়ু বাড়ায়।
চাইনীজ ট্র্যাডিশনাল একক চিকিৎসা পদ্ধতির ফলে থেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না এবং ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ প্রচলিত কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ ও স্বাভাবিক কোষ ধ্বংস হয় এবং রক্তের শ্বেতকণিকা কমে যায়। এর ফলে ইমুনিটি কমে যায়। বর্তমানে মডার্ন ক্যান্সার হাসপাতাল গুয়াংজৌ রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে রোগীর জন্য প্রযোজ্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে যেমন-ইন্টারন্যাশনাল থেরাপি, পার্টিকেল ইমপ্লেনটেশন এবং আর হে ক্রায়োথেরাপি যা কার্যকর ভাবে উল্লেখিত, মানসিক আঘাত এড়িয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমান যায় ।
রোগ প্রতিরোধ করা এবং চক্ষু ক্যান্সার জন্য সেবাঃ
দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে এখনও শিশুদের চোখের ক্যান্সার প্রতিষেধক কোন ব্যবস্থা পাওয়া যায় নি। সেজন্য গর্ভাবস্তায় গর্ভবতী মাকে স্বাস্থ্য সতর্ক থাকতে হবে, এক্স রে এবং বিকিরণ যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে হবে, শিশুর জন্য ঝুঁকি এমন সবকিছু থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য চোখের প্রতি আরো মনোযোগী এবং হাসপাতালে নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার জন্য যাওয়া উচিত।
According to the statistics of theWHO,the incidence rate of breast cancer in Malaysia in 2020was 39.7 cases per100,000 persons, and the mortality ratewas7.2 case
Read More ›According to the statistics of theWHO,the incidence rate of breast cancer in Malaysia in 2020was 39.7 cases per100,000 persons, and the mortality ratewas7.2 case
Read More ›PHUA THIN KUI, coming from Medan, Indonesia, was diagnosed with lung cancer. After taking interventional therapy, cryotherapy and natural therapy in St. Stamford
Read More ›