ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ
প্রতি বছর ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার আগে প্রয়োজন ক্যান্সারটি ভালোভাবে সনাক্ত করা। ব্রঙ্কাইয়াল এপিথেলিয়াম থেকে শুরু হয় বলে একে ব্রঙ্কাইয়াল লাং ক্যান্সারও বলে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যান্সারের তেমন কোন লক্ষণ দেখা যায় না বলে বেশীরভাগ রোগীই বুঝতে পারেন না এবং চিকিৎসা শুরু করতে দেরী করে ফেলেন।
ফুসফুস ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণঃ
১.কাশিঃ দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রেই লাং ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কাশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে শুকনো কাশি অথবা ঘন ঘন কাশি হতে পারে, কাশির সাথে অতিমাত্রায় কফ যেতে পারে অথবা রাতের দিকে কাশি প্রচণ্ড বেড়ে যেতে পারে।
২. কাশির সাথে রক্ত যাওয়াঃ এটিও ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ এবং ধূমপানকারী পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রে লক্ষণটি বেশী দেখা যায়। এক্ষেত্রে কফের সাথে অথবা থুতুর বা লালার সাথে রক্ত যায় এবং দেখা যায় ফুসফুস এর কোন না কোন জায়গায় বারবার ইনফেকশন হয়।
৩. বুক ব্যথাঃ প্রায় ৩০% ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি দেখা যায়। টিউমার ফুসফুস ঝিল্লীর আশপাশে হলে মাঝে মাঝে হালকা বুক ব্যথা হয়ে থাকে কিন্তু টিউমারটি যদি ফুসফুস ঝিল্লী ভেদ করে তাহলে অনবরত বুকে ব্যথা থাকে।
৪. জ্বরঃ ক্যান্সারের প্রদাহের কারণে জ্বর হয়ে থাকে এবং শরীরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি এর নিচে থাকে। এক্ষেত্রে কোন অ্যান্টিবায়োটিক ও কাজ করে না এবং বার বার জ্বর আসতে থাকে।
৫. বুক ব্যথা এবং শ্বাস-কষ্টঃ ক্যান্সারের কারণে ফুসফুসের শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৬. আঙুল ফুলে যাওয়াঃ এক্ষেত্রে আঙুল ফুলে যায় এবং ব্যথা হয় বিশেষ করে আঙুলের গোঁড়ার দিক এবং নখের চারপাশ। এই লক্ষণ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে যাতে ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করা যায়।
৭.বাতঃ শরীরের জোড়া বা গাঁট যেমন হাঁটু,কনুই,কব্জি ইত্যাদিতে ব্যথা হতে পারে। এমনকি ব্যথার কারণে হাত নড়াচড়া করতে বা হাঁটতেও প্রচণ্ড অসুবিধা হতে পারে।
মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তাঃ উপরোক্ত যেকোনো লক্ষণ দেখা মাত্রই পরবর্তী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হবে।
scrollTop