ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ
করোটি গহ্বর এ অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন থেকে ব্রেইন ক্যান্সার হয়। একে ইনট্রাকার্ণিয়াল টিউমারও বলা হয়। মস্তিস্কের বিভিন্ন কোষে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার, করোটিড নার্ভ, খুলি, পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এবং অন্যান্য মেটাস্টাসিস ব্রেইন টিউমার থেকে এই ক্যান্সার হয়ে থাকে।
করোটিড গহ্বরে হাড় থাকে বিধায় মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে ইনট্রাকার্ণিয়াল প্রেসার অত্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, বমি, কোমা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বয়স ভেদে টিউমারের অবস্থান, ধরণ ইত্যাদি ভিন্ন হতে পারে।
ব্রেইন ক্যান্সারের কারণ কি?
১. রেডিয়েশন ঃ মোবাইল এবং কম্পিউটার হতে নির্গত তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ অথবা যে কোন ভাবেই তেজস্ক্রিয় তরঙ্গের সংস্পর্শে আসলে ব্রেইন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
২. আঘাতঃ বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ ভাবে মাথায় অতিরিক্ত আঘাত পেলে অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার কোষ সক্রিয় হয়ে যেতে পারে অথবা পূর্বে বিদ্যমান টিউমারের আকৃতিও বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩. বিভিন্ন কেমিক্যালঃ দীর্ঘসময় ধরে বিভিন্ন কেমিক্যাল অথবা হেয়ার কালার মাথায় ব্যবহার করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৪.জন্মগত কারণঃ ভ্রূণের উন্নয়নের সময় একটোপিক প্রিমিটিভ সেল বা করোটি গহ্বর থেকে যায় এবং এর বর্ধন প্রক্রিয়ার বিভিন্নতার কারণে জন্মগত ভাবেও মস্তিষ্কের ক্যান্সার হতে পারে।
৫. বংশগত কারণঃ অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবারের কারো ব্রেইন ক্যান্সার ছিল এবং ভবিষ্যতে তারও হয়েছে। সুতরাং জেনেটিক্যাল কারনেও ব্রেইন ক্যান্সার হতে পারে।
ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ কি ?
১. প্রচণ্ড মাথা ব্যথায় ভোর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া এবং ঘুম যত গভীর হয় মাথা ব্যথাও ততো বাড়ে।
২. পেটে ব্যথা ছাড়া বা বমনেচ্ছা ছাড়াই বমি হতে পারে এবং খাবারের সাথে বমির কোন সম্পর্ক থাকে না। মাথা ব্যথা থাকাকালীন সময়েও বমি হতে পারে।
৩. ব্রেইন ক্যান্সারের ফলে মস্তিষ্কের অভ্যন্তরের চাপ অত্যন্ত বেড়ে যায় এবং শিরাস্থ রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ হয় ফলে স্ট্যাসিস এবং এডিমা হতে পারে।
৪. চোখ অতিরিক্ত কাঁপা বা চোখের পাতা বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
৫. ব্রেইন ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হল ঘ্রাণশক্তি হ্রাস পাওয়া, অলীক কোন কিছুতে কল্পনা করা প্রভৃতি।
৬. ব্রেইন টিউমারের কারনে শ্রবণশক্তিও হ্রাস পায়।
৭. অপ্রাপ্ত বয়সে মৃগী রোগ দেখা দিলে এবং সাথে মানসিক ভারসাম্যহীনতা বা অন্য কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই বুঝতে হবে এটি ব্রেইন ক্যান্সার।
ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো সবার ক্ষেত্রে একই রকম হয় না এবং এক্ষেত্রে কোন রকম লক্ষণ দেখা মাত্রই দ্রুত পরবর্তী পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ হসপিটালে যাওয়ার জন্য মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
scrollTop