ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার এক ধরনের ক্যান্সার যা শুধুমাত্র উপসর্গের উপর ভিত্তিকরে নিশ্চিত হওয়া যায়না। তাই ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সঠিক পরীক্ষা পদ্ধতি প্রয়োগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ল্যারিনগিয়াল ক্যান্সার পরীক্ষার কিছু জ্ঞান থাকা খুবই সহায়ক।নিম্নে ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
ঘাড় বা নেক পরীক্ষা: নেক পরীক্ষা হচ্ছে ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের অন্যতম একটি পদ্ধতি। এর সাহায্যে স্বরযন্ত্র এবং ঘাড়ের লসিকা গ্রন্থির প্রান্তরেখা পরীক্ষা করা হয়।ঘাড়ের লসিকা গ্রন্থি সাব-ম্যান্ডিবুলার বা নিম্ন চোয়াল অঞ্চল থেকে শুরু হয় এবং ধারাবাহিকভাবে হাইপোহাইয়াল এবং ক্রিকো থাইরড ঝিল্লি, বায়ু টিউব সম্মুখ অঞ্চল, সুপ্রাস্ট্যানাল খাঁজ এবং দ্বিপক্ষীয় স্টারনোক্লিডোমাস্টোয়েড এর অগ্র এবং অবর সীমানা এর অবস্থান এবং আকার চিত্র এবং লসিকা গ্রন্থির ফুলে ওঠা ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে ল্যারিনগিয়াল ক্যান্সার নিশ্চিত করা হয়।
ল্যারিঙ্গিসকপি: পরোক্ষ ল্যারিঙ্গিসকপি ল্যারিনগিয়াল ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ পরীক্ষা পদ্ধতি।যদি পরোক্ষ ল্যারিঙ্গিসকপির ফলাফল সন্তুষজনক না হয়, তবে সরাসরি ল্যারিঙ্গিসকপি এবং ফাইব্রো ল্যারিঙ্গিসকোপ এর দ্বারা স্বরযন্ত্রের ভিতরের ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার দ্বারা আক্রান্ত কিনা না তা সনাক্ত করা যেতে পারে।এদিকে, ক্ষত থেকে সন্দেহভাজন টিস্যু এর প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা প্রেরণ করা হয়।
ইমেজিং পরীক্ষা: এটা ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
এক্সরে পরীক্ষা: এক্সরে স্বরযন্ত্র, ল্যামিনোগ্রাম,নরমোটোপিয়া এর স্বরযন্ত্রের অবস্থান, আকার এবং ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার ক্ষত এবং সম্মুখ সার্ভিকাল পর্শুকা সফট টিস্যু পরিবর্তনের আকৃতি পরিষ্কারভাবে নির্ণয় করতে পারে।প্রয়োজনে ল্যারিঙ্গিয়াল রেডিওগ্রাফি সম্পাদনা করা হয়।
সিটি, এমআরআই পরীক্ষা: সিটি এবং এমআরআই এর সাহায্যে সহজেই ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার এবং স্বরযন্ত্র বাইরের এলাকাসমূহ, যেমন ঘাড় লসিকা গ্রন্থিতে ক্যান্সারের ছড়িয়ে পড়া নির্ণয় করা যায়। এটা এডভান্সড পর্যায়ের ল্যারিঙ্গিয়াল ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিশেষ সহায়ক।
আলট্রাসাউন্ড টমোস্ক্যান: এটি ঘাড়ের ফোলা লসিকা গ্রন্থির অস্তিত্ব ও অবস্থান এবং ঘাড়ের কাছাকাছি টিস্যু সঙ্গে লসিকা গ্রন্থির অবস্থান নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। উপরন্তু, একটি ফলো আপ পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে পোস্টঅপারেটিভ রেডিওথেরাপি ব্যবহৃত হয়। আলট্রাসাউন্ড টমোস্ক্যান হচ্ছে নিরাপদ, সুবিধাজনক, সুনির্দিষ্ট, কম খরচ সম্পন্ন হয়।