টেস্টিকুলার ক্যান্সার পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির স্বরূপ, এর ফলে রোগীর প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।যথাসময়ে টেস্টিকুলার ক্যান্সার নির্ণয় এ ক্যান্সার চিকিৎসার সবচেয়ে কার্যকরী ফলাফল দিতে সক্ষম । প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার নির্ণয় করা হলে তা চিকিত্সায় দ্রুত ফলাফল দিতে পারে কিন্তু এডভান্সড বা শেষ পর্যায়ের টেস্টিকুলার ক্যান্সারের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করা খুব কঠিন। তাই টেস্টিকুলার ক্যান্সার নির্ণয়ের পদ্ধতি জানা অতি গুরুত্বপূর্ণ ।
টেস্টিকুলার ক্যান্সার নির্ণয়ের পদ্ধতি কি কি ?
ল্যাবরেটরি পরীক্ষণ : ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় প্রধানত β-HCG, এএফপি এবং LDH রক্তরস পরীক্ষা ইত্যাদি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ।
ইমেজিং পরীক্ষা: টেস্টিকুলার ক্যান্সার পরীক্ষায় ইমেজিং পরীক্ষা এ পদ্ধতি বিশেষভাবে প্রচলিত। বি- টাইপ আলট্রাসাউন্ড অণ্ডকোষের মধ্যে টিউমার নির্ণয় করতে পারে। অ্যাবডোমিনাল ও পেলভিস সিটি পরীক্ষা ক্যান্সার লসিকাগ্রন্থিতে ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা নির্ণয় করতে পারে। চেস্ট রেডিত্তগ্রাফ় এবং সিটি পরীক্ষা ফুসফুসের স্থানান্তরণ নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয়। অতএব, আবডোমিনাল ও পেলভিস সিটি টেস্টিকুলার ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফি(PET) পরীক্ষা টেস্টিকুলার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের রোগ নির্ণয়ে আরও নির্ভুল ফলাফল দিতে সক্ষম ।
প্যাথলজি পরীক্ষা: বায়োপসির পরীক্ষার মাধ্যমে টেস্টিকুলার টিউমার নিশ্চিত পরীক্ষা করা হয়। টিউমার ছড়িয়ে পড়ার একটি সমূহ সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে শুক্রাশয় পাংচার বায়োপসি অতি সাবধানতার সাথে করা হয়।
পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে টেস্টিকুলার ক্যান্সার পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে টেস্টিকুলার এপিডার্ময়েড বা ডার্ময়েড সিস্ট , টেস্টিকুলার টরশন , এপিডাইডিমাইটাস, এপিডাইডিমো অরকাইটাস, হাইড্রোকেলা ইত্যাদির পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, টেস্টিকুলার ক্যান্সার পরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়লে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া উচিত।