স্কীন ক্যান্সার হল একধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা ত্বকে হয়। শরীরের যে সব অংশ উন্মুক্ত থাকে যেমন মুখ, গলা, হাত, পিঠ ইত্যাদি অংশে সাধারণত স্কীন ক্যান্সার হয়। এটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে রোগীকে বিরক্ত করে।কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার যথাসময়ে সনাক্ত করা সম্ভব হলে চিকিত্সার সহায়ক হয়।যেহেতু অনেকেই মনে করেন হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করা অসুবিধাজনক তাই নিচে স্কীন ক্যান্সারের স্ব-পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
স্কীন ক্যান্সারের স্ব-পরীক্ষা পদ্ধতি সমুহঃ
জামা কাপড় খুলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বাহু থেকে করতলের কেন্দ্র, আঙুল,হাত এবং পিঠ পরীক্ষা করুন। হাত উঁচু করে এবং কনুইয়ের জয়েন্টগুলোতে এবং জয়েন্টগুলোর ভিতরের চামড়া ভাবে পরীক্ষা করুন।
শরীরের সামনের দিক যেমনঃ মুখমন্ডল, গলা, বুক, পেট, পিউবিস এবং নিম্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করুন।
দু হাত তুলে দেহের বাম দিক থেকে ডান দিক পর্যন্ত ভাল ভাবে পরীক্ষা করুন।
আয়নার দিকে পিছন ফিরে দাড়ান এর পর হাতে অন্য একটি ছোট আয়না ধরে ঘাড়,দুই বাহুর পিছনের চামড়া,ঘাড় থেকে নিতম্ব পর্যন্ত ভাল ভাবে পরীক্ষা করুন। এক্ষেত্রে অন্য কারো সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
চুলের মধ্যে চিরুনি দিয়ে অতি সাবধানতার সাথে মাথার চামড়া পরীক্ষা করুন। এক্ষেত্রে অন্য কারো সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
এবার বসুন, পদপৃষ্ঠ, হিল, পায়ের আঙ্গুল এবং পায়ের পাতা ভাল করে পর্যবেক্ষণ করুন।তারপর একটি আয়না নিয়ে আপনার পা এর পিছনে দেখুন কোন ক্ষত চিহ্ন রয়েছে কিনা।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, শরীরে কোন স্থানের চামড়ায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে।
স্কীন ক্যান্সার নির্ণয়ের কিছু সতর্কতাঃ
প্রথমতঃ, রেডিও অ্যাকটিভ পদার্থ থেকে এড়িয়ে চলতে হবে,বিশেষত যে সকল রোগী দীর্ঘস্থায়ী চর্ম রোগে আক্রান্ত বা যারা তেজস্ক্রিয় পদার্থ, খনিজ আলকাতরা এবং অদ্রি ইত্যাদির সংস্পর্শে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে স্কীন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
দ্বিতীয়ত, মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, ত্বকে কোন অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে, যেমনঃ শক্ত এবং ফোলা অর্বুদ এবং তার প্রান্ত যদি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে, অনাকাঙ্ক্ষিত কোন চামড়া ইত্যাদি স্কিন ক্যান্সার বিকাশে সহায়তা করে, বয়স্ক লোকদের তুলনায় ৪০বছর বয়সীদের সাধারণত এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশী থাকে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্কীন ক্যান্সার নির্ণয়ে হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা করা।