ওভারিয়ান ক্যান্সার মহিলা যৌনাঙ্গের একটি অতি পরিচিত ক্যান্সার। সার্ভিকাল ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের পরে ওভারিয়ান ক্যান্সারের অবস্থান তৃতীয়, যা মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপকভাবে হুমকি স্বরূপ।ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসায় সময়মত এ ক্যান্সার নির্ণয় এবং সনাক্তকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিক নির্ণয় পদ্ধতি
প্রাথমিক পর্যায়ে ওভারিয়ান ক্যান্সারে সাধারণত কোন উপসর্গ এবং শারীরিক উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়না।প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর রোগের ইতিহাস জেনে গাইনোকোলজিক পরীক্ষা করা হয়।দীর্ঘস্থায়ী ত্রুটিপূর্ণ ওভারিয়ান, দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া প্রস্রাবে নালীর অস্বাভাবিক উপসর্গ, অল্প বয়সী মেয়েদের ডিম্বাশয়ের দ্রুত বৃদ্ধি অথবা মেনোপজ পর ডিম্বাশয়ে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি অস্বাভাবিকতা বা সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলে ইমেজিং পরীক্ষা এবং টিউমার চিহ্নিতকারী পরীক্ষার মাধ্যমে ওভারিয়ান ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়।
পর্যায় নির্ণয় পদ্ধতি
ইমেজিং পরীক্ষা মাধ্যমে রোগীর ওভারিয়ান উপাঙ্গের মধ্যে সংবেদনশীল ফোলা বা ডেলা বাঁধা আছে কিনা তা সনাক্ত করা সম্ভব । কিন্তু কিছু ওভারিয়ান ক্যান্সার ক্ষেত্রে টিউমার গুলো খুব ছোট ছোট হয় এবং সেগুলো অর্বুদ এর মতো চারিদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ।
ওভারিয়ান ক্যান্সার নির্ণয়ের প্রযুক্তি ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে।এখন সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর পরীক্ষা পদ্ধতি রয়েছে, যেমনঃ মলা পরীক্ষা,রেক্টো ইউটেরাইন ফোসার পাংচার ফ্লুয়িড পরীক্ষা,সাইটোলজিক্যাল পরীক্ষা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।ল্যাপার্সকপি ও হিস্টোলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে ওভারিয়ান ক্যান্সার সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যায়।ইমেজিং পরীক্ষা,বিশেষ করে যোনির মধ্যে আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানিং এর দ্বারা প্রাথমিক ম্যালিগন্যান্ট ওভারিয়ান টিউমার এবং অভ্যন্তরীণ কাঠামো এবং এর অবস্থা নির্ণয় করা হয়। এণ্ডোক্রাইন পরীক্ষার দ্বারা ডিম্বকোষ এবং আংশিক একটোপিক অন্তঃস্রাবী সিন্ড্রোম এর টিউমার নির্ণয় করা হয়। সিরাম টিউমার মার্কার পরীক্ষার মাধ্যমে অত্যন্ত সংবেদনশীল ওভারিয়ান ম্যালিগন্যান্ট টিউমার সনাক্ত করা হয়। ইম্যুনোলজিক পরীক্ষার সাহায্যে বেস ওভারিয়ান ক্যান্সার নির্ণয় করা যায় না।তবে একাধিক টিউমার মার্কার পরীক্ষার সমন্বয়ে আরও বেশি নির্ভুলতার সাথে রোগ নির্ণয় করতে পারে।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞগণ বলেন যে,ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা গেলে এর চিকিত্সায় ভাল ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। অতএব, ওভারিয়ান ক্যান্সার ধরা পড়লে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়মিত পরীক্ষা এবং চিকিত্সার জন্য যাওয়া উচিত।