ওরাল ক্যান্সার দীর্ঘদিন ধরে সৃষ্টি হয়, এটা কয়েক বছর এমনকি দশক সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষতের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়।তাই নিয়মিত চেক-আপ এবং সনাক্তকরণ ওরাল ক্যান্সার চিকিৎসায় কার্যকরী ফলাফল দিতে পারে।
ইমেজিং পরীক্ষা-সমূহঃ
রেডিও অ্যাকটিভ নিউক্লিড এর সাহায্যে জিহ্বা থাইরয়েড গ্রন্থিতে ওরাল ক্যান্সার ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
বি-আলট্রাসাউন্ড
এক্সরে প্লেইন ফিল্ম এবং ফল্ট ফোটোগ্রাফি হাড়, চোয়াল বা অনুনাসিক/ প্যারানাসাল ইত্যাদিতে ওরাল ক্যান্সার আক্রমন সনাক্ত করতে পারে।
সিটি পরীক্ষার মাধ্যমে টিউমারের আকার, আকৃতি এবং পার্শ্ববর্তী টিস্যু এবং ক্যারোটিড ধমনী সঙ্গে সম্পর্ক, ঘাড় লসিকাগ্রন্থি ছড়িয়ে পড়েছে কিনা ইত্যাদি নির্ণয় করা যায়।
সাইটোলজিক্যাল পরীক্ষা এবং বায়োপসি
এক্সফোলিয়েটিভ সাইটোলজিক্যাল পরীক্ষা ক্ষত বা অস্পষ্ট কার্সিনোমা নির্ণয়ে উপযুক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি। আরও ভালএবং ইতিবাচক ফলাফলের জন্য বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়।
ওরাল ইস্কোয়েমাস কার্সিনোমা ক্যান্সার নির্ণয়ে চিপড-বায়োপসি করা হয়। পৃষ্ঠ শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী ভাঙা বা অস্বাভাবিকতা, পৃষ্ঠস্থ অবস্থান, মৃত টিস্যু ইত্যাদি এড়াতে টিউমারের সীমানা এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী স্বাভাবিক উভয় টিস্যুর নমুনা নেয়া হয়।
যদিও উপরের রোগনির্ণয় পদ্ধতি বা পরীক্ষা সমূহ টিউমার কোষ এবং ছরিয়ে পড়া সনাক্ত করণে তেমন ভাল ফলাফল দিতে সক্ষম নয়, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন যার চিকিত্সা বিলম্বিত হয়েছে এবং টিউমার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ইত্যাদি সময়ে বায়োপসি এবং ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা করা আবশ্যক।
স্ব- পরীক্ষাঃ
1. মুখ ও ঘাড় পরীক্ষা: ঘাড় পরীক্ষণের ক্ষেত্রে মাথা যতটা সম্ভব পেছন দিকে ঝুঁকিয়ে দেখুন কোন ধরনের অস্বাভাবিকতা অনুভব হয় কিনা। হাতের মাধ্যমে দুই ঘাড়ের দুই পাশ ধরে দেখুন এবং চর্বন গ্রন্থি ধরে দেখুন কোন ধরনের ব্যাথা এবং ঘাড়ের দুই পাশের মধ্যে পার্থক্য অনুভব হয় কিনা। 2. ঠোঁট পরীক্ষা: উভয় ঠোঁট এর বহিঃস্থ পার্শ্ব, অভ্যন্তরে ধরে দেখুন উপড়ে বা নিচের দিকে কোন পার্থক্য অনুভূত হয় কিনা। 3. আঠার পরীক্ষা: আপনার মাড়ির মধ্যে আঙুল রেখের দেখুন পূর্ববর্তী অবস্থায় এবং বর্তমানে মুখের আঠার মধ্যে কোন পার্থক্য অনুভূত হয় কিনা।4. গণ্ডদেশ পরীক্ষা: মুখ বন্ধ করে দুইপাশ থেকে কানের দিকে টানুন,দুইপাশের থুঁতনিতে ধরে দেখুন কোন অস্বাভাবিকতা অনুভব হয় কিনা। 5. আপনার জিহ্বা পরীক্ষা করুন: আপনার জিহ্বা প্রসারিত করুন,জিহ্বার পৃষ্ঠতল হাতিয়ে দেখুন এরপর জিহ্বা বাম এবং ডান দিকে সঞ্চালন করে দেখুন কোন ক্ষত বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায় কিনা।6. জিহ্বা এর উপরিতল পরীক্ষা করুন। 7. গলবিল এবং তালু পরীক্ষা করুন: মাথা পেছনে নিতে নিতে আপনার মুখ খুলে "অই" বলে দেখুন, গলবিল এবং তালুতে অস্বাভাবিকতা আছে কিনা।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে,যথা সময়ে ওরাল ক্যান্সার নির্ণয় এবং সনাক্তকরণ এ ক্যান্সার চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকরী ফলাফল দিতে পারে।