লিম্ফোমা নির্ণয় বা সনাক্ত করণ ধারনা বা আন্দাজের উপর করা সম্ভব নয়। রোগের উপসর্গ , কোন রকম ক্ষত, ক্ষতের অবস্থান এবং পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে ভুল নির্ণয় পদ্ধতি লিম্ফোমা রোগের হার বৃদ্ধি করে। নিম্নে আলোচিত পরীক্ষাসমুহ রোগীর লিম্ফোমা নির্ণয়ে সাহায্য করেঃ
এক্সরে এর সাহায্যে ফুসফুসের হাইলাম,গহ্বর, শ্বাসনালী এবং এন্ডোস্পারম এর লসিকা গ্রন্থি পর্যবেক্ষণ করা হয়। যদি ফুসফুসের হাইলাম এবং অ্যানটেরোসুপেরিওর মিডিয়াস্টেনাম এর লসিকা গ্রন্থি কোন কারণে ফুলে উঠে তবে তা মারাত্মক অবস্থা প্রকাশ করে। তবে তার যদি আগে লসিকা গ্রন্থি ফুলে উঠে , যক্ষা, ক্ষণস্থায়ী সংক্রমণ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায় তাহলে অন্যান্য ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।
কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফি (CT) লিম্ফ টিস্যু সনাক্ত করতে পারে। চেস্ট সিটি স্ক্যানের সাহায্যে ফুসফুসের গহ্বর এবং লসিকা গ্রন্থি, শ্বাসনালী, ফুসফুসের হাইলাম, ট্রাকিয়া, মহাধমনীর ফাঁকা স্থান পরীক্ষা করা হয়।
ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) রক্তনালীসমূহের কাঠামো পরীক্ষা এবং শরীরের ভিতর বহু – সমতল ভাবে স্ক্যান করতে পারেন.
রেডিওস্টপিক স্ক্যানিং:.এর সাহায্যে হাড়ের ক্ষত এক্সরের তুলনায় তাড়াতাড়ি নির্ণয় করা সম্ভব হয়।সাধারণত হিস্টোসাইটিক লিম্ফোমা হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করতে করে।
আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে ২ ডায়াসে.মি. এর উপর লসিকা গ্রন্থি পরীক্ষা করা যায়। . তবে এটি লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সারের অনুপ্রবেশ বা প্রতিক্রিয়া, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ইত্যাদি কারণ সনাক্ত করতে পারে না। এর মাধ্যমে লিভার বা প্লীহার মধ্যে সুস্পষ্ট টিউবারকল নির্ণয় করা যায়।
ডাক্তাররা ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে রোগনির্ণয় বা পরীক্ষার জন্য লিম্ফোমায় আক্রান্ত রোগীর টিউমার থেকে কিছু টিস্যু কেটে বা চেঁচে নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে টিউমার টি প্রাথমিক বা ম্যালিগন্যান্ট পর্যায়ে আছে কিনা তা নিশ্চিত করেন।
লসিকা গ্রন্থির বায়োপসি পরীক্ষাঃ ম্যালিগন্যান্ট টিউমার পরীক্ষণের জন্য লসিকা গ্রন্থি থেকে কিছু টিস্যু কেটে বা চেঁচে নিয়ে বায়োপসি এবং প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় ।
অস্থি মজ্জা বা বোনম্যারো এর বায়োপসি পরীক্ষাঃ অস্থি মজ্জা উপর লিম্ফোমার প্রকোপ অত্যন্ত বেশি প্রায় ৪০%- ৯০% । রোগনির্ণয় বা পরীক্ষার জন্য অস্থি মজ্জা থেকে টিস্যু বা কোষ কলা কেটে বা চেঁচে নিয়ে অস্থি মজ্জায় ম্যালিগন্যান্ট লিম্ফোমার অস্তিত্ব পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত এটি পাংচারিং এর মাধ্যমে করা হয়।
লিভারের বায়োপসি পরীক্ষাঃ নন- হজকিংন লিম্ফোমার ক্ষেত্রে ছোট লিম্ফ কোষ এবং ছোট ক্লেভড কোষগুলো দ্রুত লিভারে আক্রমন করতে পারে।
রক্ত পরীক্ষাঃ হজকিংন রোগের ক্ষেত্রে শ্বেত রক্ত কনিকা স্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু নন- হজকিংন লিম্ফোমার ক্ষেত্রে রক্তের শ্বেতকণিকার পাশাপাশি লসিকা কোষ ও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞরা বলেন যে , শরীরের কোন স্থানে ফোলা বা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে।