কিডনি ক্যান্সার একধরনের অতি পরিচিত ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার যা ইউরিনিফেরাস টিউবল এর ইপিথেলিয়ামে শুরু হয় বা রেনাল প্যারেঙ্কিমা থেকে শুরু হয়। পুরুষ এবং মহিলাদের আক্রান্ত হবার অনুপাত ২:১ ।প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি ক্যান্সারের তেমন কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায়না। প্রস্রাবে সমস্যা, অকারণে জ্বর এ ধরনের উপসর্গ গুলোই হচ্ছে কিডনি ক্যান্সার প্রথম লক্ষণ। কিডনি ক্যান্সার ধরা পড়ার সাথে সাথেই অবিলম্বে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে।
কিডনি ক্যান্সার নির্ণয়
সাধারণ পরীক্ষা: যখন টিউমার শ্রোণীচক্র এবং কিডনি ক্যালিসিস আক্রমণ করে তখন প্রস্রাবের সাথে অস্বাভাবিক রক্ত যাওয়া শুরু হয়, রুটিন পরীক্ষার মাধ্যমে এটি পরীক্ষা করা যায়। অনেক সময় রুটিন পরীক্ষায় ফলাফল স্বাভাবিক আসলেও কিডনি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাদ দেওয়া উচিত নয়।
এক্সরে পরীক্ষা: ক্যান্সার নির্ণয়ে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি । আজকাল প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতি ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে, তাই এক্সরে পরীক্ষা স্পষ্ট ও সঠিক ফলাফল দিতে সক্ষম হয়।
KUB (কিডনি, মূত্রনালী এবং মূত্রাশয়): KUB এর মাধ্যমে কিডনির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, দাগ এবং১০% ভেতরের বা বাইরের অর্বুদ সনাক্ত করা যায়।
পায়লোগ্রাফি: ইন্ট্রানার্ভস পায়লোগ্রাফি এবং রেক্ট্রোগ্রেড পায়লোগ্রাফি হচ্ছে কিডনি ক্যান্সার নির্ণয়ের মৌলিক পদ্ধতি।
অ্যাবডোমিনাল অ্যারটো-রেনাল আর্টেরিওগ্রাফিঃ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতি যা প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি ক্যান্সার নির্ণয় ও তার প্রকৃতি নির্ধারণ করতে পারে।
ইনফেরিওর ভেনা ক্যাভোগ্রাফিঃ ৫% -১৫% কিডনি ক্যান্সার রোগীদের শিরা ধমনী রোধী টিউমার থাকে। রেডিত্তগ্রাফি মহাশিরা এবং কিডনি শিরা মধ্যে টিউমার এবং ধমনীরোধী রক্তপিণ্ড আছে কিনা তা নির্ণয় করতে পারে।
সিটি পরীক্ষা:. সিটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধানত কিডনির মধ্যকার ক্ষত নির্ণয় করা হয় এবং এর দ্বারা সিস্টিক এবং কঠিন টিউমার নির্ভুলতার সাথে চিহ্নিত করা যায়।
এমআরআই পরীক্ষা: এটা পরিষ্কারভাবে কঠিন মেস এবং কিডনি সিস্ট এর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে।
আলট্রাসাউন্ড: এটি কিডনি ক্যান্সার সনাক্ত করতে সক্ষম এবং লিভার এবং প্লীহা অথবা লসিকা গ্রন্থির কাছাকাছি ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তাও নির্ণয় করতে পারে
রেডিওনিউক্লিড পরীক্ষা: তেজস্ক্রিয় নিউক্লিড কিডনি ফাংশন পরীক্ষা করে। এদিকে, ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির অবস্থার প্রকাশ করা হয় এবং কিডনি ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হয়।যে সকল রোগীর জন্য ইমেজিং পরীক্ষা করা সম্ভব না তাদের জন্য রেডিওনিউক্লিড পরীক্ষা উপযুক্ত।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞরা বলেন যে,রোগীদের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী তারা উপরোক্ত যে কোন পরীক্ষা পদ্ধতি নির্বাচন করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি ক্যান্সার কোন সুস্পষ্ট লক্ষণ, নিয়মিত রুটিন পরীক্ষা করা হলে চিকিৎসার জন্য বিশেষ সহায়ক হয়।