পিত্তাশয় ক্যান্সার
পিত্তাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো অস্পষ্ট তবে এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে বা ডানপাশের উপরিভাগে অবিরাম বা মাঝেমধ্যে হালকা বা প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে। পিত্তাশয় ক্যান্সার হতে পারে বলে সন্দেহ হলে দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে।
পিত্তাশয় ক্যান্সার নির্ণয়ের কি কি পরীক্ষা আছে?
১) আলট্রাসনোগ্রাফিঃ এর সাহায্যে পিত্তাশয়ে টিউমারের আকৃতি সম্পর্কে জানা যায়। এছাড়াও ক্যান্সার টিস্যু আছে কিনা বা লিভারে ক্যান্সার ছড়িয়েছে কিনা তাও জানা যায়।
২)সি.টি. স্ক্যানঃ আলট্রাসাউন্ড এক্সামিনেশনের পর ক্যান্সার সন্দেহ হলে সি.টি. এক্সামিনেশন করাতে হবে।
৩) এম.আর.আইঃ লিভারে ক্যান্সার ছড়িয়েছে কিনা তা জানার জন্য এম.আর.আই করাতে হবে, এছাড়াও লক্ষণ হিসেবে জন্ডিস দেখা দিলেও এম.আর.আই করাতে হবে।
৪) পেট-সি.টি. ঃ এর মাধ্যমে পিত্তাশয়ের টিউমার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যায় এবং পিত্তাশয়ের বাহিরেও ক্যান্সার আছে কিনা তাও সনাক্ত করা যায়।
৫) ল্যাবরেটোরি এক্সামিনেশনঃ টিউমারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং টিউমারের সংখ্যা বেড়েছে কিনা তা দেখার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।
পিত্তাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো তেমন স্পষ্ট না হওয়ায় অনেকক্ষেত্রেই রোগীরা পিত্তাশয়ে পাথর হয়েছে ভেবে ভুল করে। তবে প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পেটের উপরিভাগের ডানপাশে ব্যথা, খাবারে অরুচি, পেট ফেঁপে ওঠা, দুর্বলতা, হালকা জ্বর, জন্ডিস ইত্যাদি। যেসব মহিলাদের পূর্বে পিত্তাশয়ে পাথর ছিল তাদের যদি পেটে ব্যথার সাথে অন্যান্য লক্ষণ যেমন জন্ডিস দেখা যায় তাহলে ধরে নিতে হবে যে এটি পিত্তাশয় ক্যান্সার। ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে পৌঁছালে লিভারে পানি জমা ও ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার মত নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীরা একে লিভার ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার বা পিত্তনালির ক্যান্সার ভেবে ভুল করেন।
মডার্ন ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর চিকিৎসকরা বলেন যে আলট্রা সাউন্ড এক্সামিনেশনের পর পিত্তাশয়ের প্রাচীরে কোন রকম ক্ষত দেখা গেলে পিত্তাশয় ক্যান্সার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরবর্তী কেমিক্যাল এক্সামিনেশন ও করাতে হবে।
scrollTop