চোখে টিউমার খুব কম হয়, বেশিরভাগ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই চক্ষু ক্যান্সার বলা হয় । চোখের পাতায় কান্সার এর বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ রয়েছে যেমনঃ যদি চোখের পাতা ফুলে যায়, চোখে কম দেখা, চক্ষুগোলক বৃহদাকার ধারন করা বা কোনো রকম টিউমার ধরা পড়া মাত্রই তৎক্ষণাৎ অপথ্যালমোলজিস্ট বা চক্ষু বিশেষজ্ঞের এর কাছে বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য যাওয়া উচিত।
চক্ষু ক্যান্সার নির্ণয় পদ্ধতি
১.অপথ্যালমোলজিক পরীক্ষা: টিউমারের স্থান, আকার, আকৃতি, ধীরতা , সংবেদনশীলতার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি, আলসার আছে কিনা, পার্শ্ববর্তী টিস্যুর অবস্থা, চোখের পাতা এবং চোখের কক্ষপথের কাছাকাছি কোন শব্দ আছে কিনা, কাছে এবং দূরে দেখতে পারে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এ ছাড়া ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে কিনা,টিউমার প্রাথমিক বা মেটাস্ট্যাটিক পর্যায়ে আছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হয়।
২. চক্ষুর তীক্ষ্নতা, দৃষ্টি শক্তি, চোখের মুভমেন্ট, প্রসারক ডিগ্রী, ইন্ট্রাকুলার চাপ, দৃষ্টি স্কন্ধ, এবং প্রয়োজন হলে স্কিরাল ট্রান্সলিমিনেশন বা রেডিও নিউক্লাইড ৩২P,বি টাইপ আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা হয়।
৩. চোখের কক্ষপথ এবং চক্ষু গ্রন্থির এক্সরে পরীক্ষা, সম্ভব হলে অরবিটাল ফ্লেবগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, ম্যাগনেটিক রেসোনান্স (এম আর আই) করা হয়।
৪. পুরো শরীর চেকআপ করা প্রয়োজন হলে লিভার এবং কিডনি পরীক্ষা করা যেতে পারে।
৫. বায়োপসি পরীক্ষা করা ।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, চক্ষু পরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়লে অবিলম্বে হাসপাতালে একজন পেশাদার চক্ষু ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার জন্য যেতে হবে।