এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার একটি সাধারণ স্ত্রীরোগ ঘটিত ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা পরবর্তীতে জরায়ু সার্ভিক্যাল ক্যান্সারে পরিণত হয় এবং এটি মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ । অনেক মহিলাই এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার সম্পর্কে কিছুই জানেন না, একারণেই তারা উপযুক্ত সময়ে ক্যান্সার সনাক্ত করতে ও চিকিৎসা নিতে দেরি করে ফেলেন। ক্যান্সার হয়েছে কিনা তা কিভাবে বুঝবেন? মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞগণ এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করেন নিচে তা আলোচনা করা হলঃ
এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের পদ্ধতি
১. ডায়াগনস্টিক কিউরাটেজ : এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য কিউরাটেজ হচ্ছে একটি অপরিহার্য পরীক্ষা পদ্ধতি। কিউরাটেজ পরীক্ষায় সাধারণত প্রথমে সার্ভিক্যাল ক্যানাল এবং পরবর্তীতে জরায়ুর গহ্বর পরীক্ষা করা হয়, তারপর জরায়ুর গহ্বরের ভিতরে অবস্থিত স্ক্রেপিং এন্ডোমেমব্রেন চিহ্নিতকরণের পরে, স্যাম্পেল বোতলে করে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয় ।প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের ভিত্তি হিসাবে গণ্য হয়।
২ হিস্টেরোসকপি: হিস্টেরোসকপি বিশেষ আণুবীক্ষণিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জরায়ু গহ্বর এবং ক্যারোটিড ক্যানাল আরও বিস্তারিতভাবে নিরীক্ষণ করতে পারে। হিস্টেরোসকপি পরীক্ষার সাহায্যে বিশেষজ্ঞগণ সরাসরিভাবে টিউমারের স্থান, আকার,টিউমারের এক্সোজেন বা এন্ডোজেন টাইপ এবং সার্ভিক্যাল ক্যানাল পর্যন্ত প্রভাবিত হয়েছে কিনা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করেন। সরাসরি রোগ নির্ণয় বা পরীক্ষার জন্য ক্ষত থেকে টিস্যু নিয়ে হিস্টো-প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । এ পদ্ধতিতে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের সফলতা ৯৪% এরও বেশী।
৩. জরায়ু গহ্বর টিউবঃ
এটি হচ্ছে এক ধরনের ব্রাশ বা সিপার এর মতো যার সাহায্যে জরায়ু গহ্বরের ভিতর হতে নিঃসৃত তরল পদার্থ শোষণ করে সাইটোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।
৪. বি আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা: বি আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা হচ্ছে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের একটি অতি প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি।জরায়ু আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে জরায়ুর গহ্বরের আকার, আকৃতি ,এন্ডোমেট্রিয়াল কান্সারের অবস্থান, এবং তা জরায়ুর সেরোসার মধ্য দিয়ে সার্ভিকাল ক্যানাল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে কিনা , মায়োমেট্রিয়াল আক্রমণ এবং ক্লিনিকাল পর্যায় ইত্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
রেট্রোপিরিটোনিয়াল লিম্ফোগ্রাফি: এ পরীক্ষার মাধ্যমে পেলভিস এবং প্যারা-মহাধমনীর লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তাই সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।.
সিটি স্ক্যান: কম্পিউটেড টমোগ্রাফি (CT) এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার নির্ণয়ের একটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি। সিটি স্ক্যানিং ইমেজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সূক্ষ্মভাবে টিস্যুর গঠন, টিউমারের আকার, অবস্থা ইত্যাদি নির্ণয় করতে পারে। এছাড়াও সিটি এর সাহায্যে পার্শ্ববর্তী জরায়ুর টিউমারের মধ্যে যোজক কলা, পেলভিস এবং প্যারা-মহা ধমনীর লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সার টিস্যু ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা নির্ধারণ করা জ।
যায়
মডার্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল গুয়াংজৌ এর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং কোন লক্ষণ দেখা মাত্রই দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছেন।