সারভিক্যাল ক্যান্সার মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। সারভিক্যাল ক্যান্সারের সঠিক পরীক্ষা বা স্ক্রীনিং রোগীদের সারভিক্যাল ক্যান্সার চিকিৎসায় এবং প্রতিরোধে ভাল ফলাফল দিতে পারে।
মডার্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল গুয়াংজৌ এর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা সারভিক্যাল ক্যান্সার নির্ণয়ে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে থাকেনঃ
সারভিক্যাল ক্যান্সারের প্রচলিত নির্ণয় পদ্ধতিঃ
সারভিক্যাল স্ক্রেপিং স্মিয়ার সাইটোলগিক্যাল পরীক্ষা
সারভিক্যাল স্ক্রেপিং স্মিয়ার সাইটোলগিক্যাল পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে সার্ভিকাল ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে টিস্যুর উপর দাগ নির্ণয় করা সম্ভব এবং এ পরীক্ষায় ফলাফল ৯৫-৯০% সঠিক পাওয়া যায়।
আয়োডিন পরীক্ষা
সাধারণত যোনি বা জরায়ুর যেসব স্থান এপিথেলিয়াম অ্যামিলন রয়েছে সে সব স্থানে আয়োডিন বাদামি বর্ণ ধারণ করে। কিন্তু সারভিক্যাল ক্যানাল, সারভিক্যাল ক্ষয় এবং অস্বাভাবিক যাকে এপিথেলিয়াম এলাকা (সহ যাকে দেহকলার অস্বাভাবিক রূপান্তর, এটিপিকাল হাইপারপ্লাশিয়া)এর মধ্যে এপিথেলিয়াম অ্যামিলন নেই ফলে আয়োডিন বাদামি বর্ণ ধারণ করে না। আয়োডিন পরীক্ষায় সন্দেহ জনক স্থানগুলোতে বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়।
সার্ভিকাল ক্যানাল এবং সারভিক্স এর বায়োপসি পরীক্ষাঃ
সারভিক্যাল ক্যান্সার রোগনির্ণয়ের বা পরীক্ষার জন্য III-IV এই পরীক্ষা বা সারভিক্যাল স্ক্রেপিং স্মিয়ার পরীক্ষা করা হয় । বায়পসি পরীক্ষায় যদি ফলাফল নেগেটিভ হয় তাহলে ৪ বিন্দু 6/9/12/3 4 অঞ্চল পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়।
ভ্যাজাইনোসকপিক পরীক্ষা সরাসরি ক্যান্সার টিউমার নির্ণয় করা যায় না কিন্তু এটি টিউমারের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম।বায়পসি পরীক্ষার সাথে সাথে যদি ভ্যাজাইনোসকপিক পরীক্ষাও করা হয় তাহলে সারভিক্যাল ক্যান্সার পরীক্ষার ফলাফল ৯৮% সঠিক হয়। যাইহোক, ভ্যাজাইনোসকপিক পরীক্ষা সাইটোলজিক্যাল পরীক্ষা বা বায়পসি পরীক্ষার মতো ভাল ফলাফল দিতে সক্ষম নয় এমনকি এর মাধ্যমে সারভিক্যাল ক্যানাল এর ভিতরে সনাক্ত সনাক্ত করাও সম্ভব হয়না।
মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, যথা সময়ে পরীক্ষা এবং সারভিক্যাল ক্যান্সার স্ক্রীনিং এর সাহায্যে সারভিক্যাল ক্যান্সার নির্ণয় করা সম্ভব । সারভিক্যাল ক্যান্সার ধরা পড়লে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া উচিত।