মূত্রাশয় ক্যান্সার হচ্ছে একটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা মূত্রাশয়ের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীতে থেকে উদ্ভূত হয়, এর প্রধান উপসর্গ হল হেমাটুরিয়া,এটি পরবর্তীতে মূত্রাশয়ে অন্যান্য রোগে এবং উপসর্গের সৃষ্টি করে। যথাসময়ে মূত্রাশয় ক্যান্সার রোগ নির্ণয় এ ক্যান্সার চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকরী ফলাফল দিতে সক্ষম । নিচে মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংজৌ এর বিশেষজ্ঞদের মূত্রাশয় ক্যান্সার নির্ণয় পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
রুটিন পরীক্ষা
মূত্রাশয় ক্যান্সারের রুটিন পরীক্ষার পদ্ধতি খুবই সহজ হয়ে থাকে। প্রসাবের মধ্যে যে লোহিত রক্ত কণিকা রয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে তাতে হেমাটুরিয়া বিদ্যমান কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। হেমাটুরিয়া এর উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য এটিই একমাত্র পদ্ধতি। প্রাথমিক পর্যায়ের মূত্রাশয় ক্যান্সার সনাক্তকরণে রুটিন পরীক্ষা মুখ্য ভূমিকা পালন করে । এ ছাড়া উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন রোগীদেরও রুটিন পরীক্ষা করা হয়।
ইউরিন এক্সফোলিয়েটিভ সেল পরীক্ষা
ইউরিন এক্সফোলিয়েটিভ সেল পরীক্ষা কোন রকম ক্ষত ছাড়া একটি অতি পরিচিত নির্ণয় পদ্ধতি।এ পরীক্ষায় ৮০ % সঠিকতা নির্দেশ করা যায়।
এক্স-রে অ্যানজিওগ্রাফি পরীক্ষার মাধ্যমে মূত্রথলি খালি বা ভর্তি কিনা, টিউমারের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।এছাড়াও রেনাল শ্রোণীচক্র এবং মূত্রনালীর রেডিত্তগ্রাফির সাহায্যে রোগীর হাইড্রোনেফ্রসিস এবং মূত্রনালী টিউমার রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা যায়।
সিস্টোস্কোপিঃ এর মাধ্যমে টিউমারের অবস্থান, আকার, পরিমাণ, ক্যান্সারের আকৃতি এবং পরিমাণ সরাসরি ভাবে জানা যায়। রোগনির্ণয়ের বা পরীক্ষার জন্য জীবদেহ থেকে কোষকলা কেটে নেওয়া হয় বা বায়োপসি এই পরীক্ষার জন্য।
মূত্রথলি পরিপূর্ণ হয়ে গেলে মূত্রাশয় প্রাচীরের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী সম্প্রসারিত হয়। বি- আলট্রাসনিক পরীক্ষার মাধ্যমে তখন টিউমারের আকার, অবস্থান এবং শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর সম্প্রসারণ নির্ণয় করা হয়। ট্রান্সরেক্টাল আলট্রাসনিক স্ক্যানের দ্বারা মূত্রাশয় প্রাচীর এবং মূত্রথলির মধ্যে সকল ধরনের মধ্যে অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করা হয় এবং এর দ্বারা ডাক্তাররা টিউমারের সম্ভাবনা সুনিশ্চিত করতে পারে।
সিটি স্ক্যানঃ এ পরীক্ষা পদ্ধতি মূত্র থলি এবং মুত্রাশয়ের প্রাচীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া এবং টিউমারের আকার ,আকৃতি এবং সম্ভাবনা পরীক্ষায় ৮০ % সঠিকতা নির্দেশ যায়।