ডক্টর ঝং গুইকিয়াং “গুয়াংঝি কলেজ অফ চাইনিজ মেডিসিন” থেকে ১৯৯৯ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি এবডোমিনাল সার্জারী এবং বোন ট্রমাটোলজী ট্রিটমেন্ট টেকনোলজি বিষয়ে অধিকতর অধ্যয়নের জন্য “বেইলিউ পিপল’স হসপিটাল”, “দ্যা সিক্সথ গুয়াংঝি মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি এফ্লিয়েটেড হসপিটাল” এবং “ইউলিন ফার্স্ট পিপল’স হসপিটাল” গুলোতে গমন করেন।
দশ বছর ধরে শল্যচিকিৎসায় নিবিষ্ট থাকার সময় তিনি “গুয়াংঝি হেপাটোবিলিয়ারি সার্জারী” এর বার্ষিক সম্মেলন, “গুয়াংঝি অর্থোপেডিক্স” এর বার্ষিক সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার কনফারেন্স, সাউথইস্ট এশিয়া টিউমার ফোরাম কনফারেন্স এবং অন্যান্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ডক্টর ঝং অঙ্কোলজি এবং ইন্টিগ্রেটেড টিসিএম এণ্ড ওয়েস্টার্ণ মেডিসিন থেরাপির বিভিন্ন সার্জারীতে বিশেষজ্ঞ। এছাড়া এসোফ্যাজিয়াল ক্যান্সার , লাং ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং এবডোমিনাল টিউমারের চিকিৎসায় তার প্রাচূর্যময় অভিজ্ঞতা আছে।
“রোগীদের ও তাদের পরিবারের সাথে চিকিৎসকদের একত্রে কাজ করা উচিৎ”
কিভাবে একজন ভাল চিকিৎসক হওয়া যায়? দশ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতায় ডক্টর ঝং পরিপূর্ণভাবে বুঝতে সক্ষম হন যে চিকিৎসাশাস্ত্রে অসাধারণ দক্ষতা ও নীতিবোধের পাশাপাশি ভাল গণসংযোগের যোগ্যতা এবং শিল্পবোধও থাকতে হয় যাতে রোগীর সন্তুষ্টি অর্জন সহজ হয় এবং কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসা ভুলবোঝাবুঝি প্রশমিত হয়। যখন একজন নতুন রোগী ভর্তি হয় তখন তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে ডক্টর ঝং রোগীর পরিবারকে রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলেন এবং চিকিৎসাপরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আভাস দেন যাতে তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারেন।
ডক্টর ঝং প্রতিবার যথাসম্ভব সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় রোগী ও তার পরিবারকে রোগ ও তার চিকিৎসা সম্পর্কে বুঝিয়ে বলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। একজন যোগ্য চিকিৎসক হওয়ার জন্য পেশাগত ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সাথে তাদের রোগীর জন্য সতর্ক ও হৃদয়বান হতে হবে এবং শুধুমাত্র হৃদয় দিয়ে কাজ করলেই একটি ভাল কাজ হওয়া সম্ভব।
“দায়িত্ববান হও এবং অনেক দূর যেতে প্রস্তত হও, আরও নিঁখুত হতে চেষ্টা কর”
ডক্টর ঝং হাসিমুখে অন্যদের বিশ্বস্ততা এবং সুস্থিত অবস্থার অনুভূতি প্রদানে সচেষ্ট। এমনকি তার সহকর্মীরাও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তার হাস্যোজ্জ্বল অভিব্যক্তি রোগীদের জন্য ওষুধের কাজ করে। শুধুমাত্র তার ব্যক্তিত্ব বিচার করেই মানুষ ততটা বাস্তবসম্মত না হলেও রোগীর সাথে তার দৃঢ় সম্পর্ক সম্বন্ধে ধারণা পায়, যেটি তাকে একজন মহৎ চিকিৎসক হিসেবে প্রকাশ করে।
ডক্টর ঝং মনে করেন তিনি তার লক্ষ্য থেকে এখনও অনেক দূরে আছেন যে কারণে তিনি সর্বদা আত্মউন্নয়নে সচেষ্ট। রোগনিরাময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে এবং এই অভিজ্ঞতার ঝুলি পরিপূর্ণ হয় দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাধনায়। তার পেশাগত নীতি এবং চিন্তাধারার দীর্ঘকালব্যাপী বাস্তবায়ন তাকে রোগী ও তাদের সুহৃদ-স্বজনদের প্রশংসা অর্জন করেছে। যাইহোক, ডক্টর ঝং বিশ্বাস করেন তিনি এযাবৎকাল যা করেছেন তা যথেষ্ট নয় বিশেষ করে যখন তিনি মুখোমুখি হন ক্যান্সারের মত কোন মারণব্যাধির।
যখন কেউ অত্যন্ত দায়িত্ববান হয় তখনি কেবল সে পরম উৎকর্ষের সন্ধানে ব্রতী হতে পারে। একইভাবে ডক্টর ঝং বিশ্বাস করেন চিকিৎসক ও রোগীর ভেতরে যোগাযোগ নির্ভর করে পারস্পরিক বিশ্বাস ও উপলব্ধির উপর। তার অসামান্য পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি গণযোগাযোগের ক্ষমতার কারণে মডার্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল গুয়াংঝুও তাকে সুরাবিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় শাখা কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিশেষজ্ঞ পদে নিযুক্ত করে। যেখানে তার কাজ হলো পরামর্শের জন্যে আগত রোগীদের সন্দেহ দূরীভূত করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরী করা।
রোগীর অবস্থা নিয়ে প্রতিদিন শলাপরামর্শ এবং প্রশ্নের জবাব দেয়া ছাড়াও ডক্টর ঝং ইন্দোনেশিয়ার চাইনিজ কম্যুনিটিতে ক্যান্সার বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেন। “স্ট্রাটো চাইনিজ রেডিও প্রোগ্রাম” বিশেষ অতিথি হিসেবে ক্যান্সার বিষয়ক বিবিধ অনিশ্চয়তার সমাধান দেয়ার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানায়। পরামর্শের জন্য আসা প্রতিটি রোগীর কথা ডক্টর ঝং মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেন। তিনি বলেন চিকিৎসার কোন বাঁধাধরা সীমা নেই। বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও অগ্রস্রর ক্যান্সার চিকিৎসাপদ্ধতির সমন্বয় এবং রোগীকে সময়মত কার্যকর ব্যবস্থাপত্র দেয়া মডার্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য এবং এর চিকিৎসকদের চালিকাশক্তি।