এবং সভাপতি । তিনি তংজি উহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন চিকিৎসা পেশা ও হাসপাতাল প্রশাসনে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন । তিনি যকৃতের রোগ, পিত্ত থলি, অন্ত্র এবং পাকস্থলী, ইত্যাদি জটিল রোগের চিকিৎসায় সমৃদ্ধ চিকিৎসা তত্ত্ব এবং অস্ত্রোপচারের ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ। সব ধরনের কঠিন রোগ ও জরুরী অবস্থা সামাল দিতে সক্ষম ।হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে চেন সমস্যার বাস্তবমুখী সমাধানকারী, উদ্ভাবনী,রোগী-মুখী চিকিৎসা ও সেবার মান কঠোরভাবে মেনে চলেন।
তোমার দক্ষতা ক্রমাগত অনুশীলন করে আরও উন্নতি কর
চেন বিং তার নিজের কৃতিত্বে কখনই সন্তুষ্ট হননি । তিনি প্রায়ই পেশাদারী গবেষনার পত্রিকা, সব ধরণের মেডিকেল সাময়িকী থেকে জ্ঞান আহরণ করেন, স্বদেশ এবং বিদেশে থেকে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন উন্নত চিকিৎসাবিদ্যার জ্ঞান অর্জন করেন । তিনি তার তাত্বিক জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ ঘটান এবং সকল জ্ঞান চিকিৎসায় ব্যবহার করেন। ডঃ চেনকে অনেকবার দেশের বড় শহরগুলোয় অ্যাকাডেমিক ফোরামে যোগ দেয়ার জন্য ও নামকরা বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । তিনি একজন নির্ভুল ও পরিশ্রমী মানুষ ।তিনি নিয়মিত নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতির খো৬জখবর নেন এবং ৩০টিরও বেশি অ্যাকাডেমিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন ।
অধ্যবসায়ী এবং পরিশ্রমী, ডাক্তারী কোর্সে যৌবন উৎসর্গ
ডঃ চেন এর সহজ-স্বাভাবিক জীবন অভিজ্ঞতা আছে । সম্ভ্রান্ত চিকিৎসামেধা,দক্ষ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রায়োগিক কর্মকান্ডের কারণে ধীরে ধীরে তিনি সাধারণ ডাক্তার থেকে প্রশাসক এবং বিভাগীয় প্রধান থেকে হাসপাতালের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এ উন্নীত হন । হাসপাতালে ঢোকার প্রথম দিন থেকেই তিনি মনস্থির করেন যে তিনি সম্ভ্রান্ত মেডিকেল কোর্সে মনোনিবেশ করবেন । তিনি তার জীবনমান খুবই সাধারন কথা ও কাজে মেটাচ্ছেন । তিনি এক দশক ধরে এমন ভাবে মনপ্রান দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন যেন মাত্র একদিন হল তার কাজে । তিনি অটলভাবে ডাক্তার হিসেবে তার কর্তব্য পালন করছেন এবং তার যৌবন এবং বুদ্ধিমত্তা রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য উৎসর্গ করেছেন । অগণিত সন্ধ্যায় এবং ছুটির দিনে, যেখানে অন্যরা ঘুমাচ্ছে, পার্টি করছে অথবা পারিবারিক মিলনমেলায় অংশ নিচ্ছে তখন তিনি কাজ করে যেতেন এবং যেকোন জরুরী অবস্থা সামাল দিয়ে রোগির জীবন বাঁচাতেন। যদিও কাজটি কঠিন ও তিক্ত, তবুও তিনি কোন প্রকার খেদ ছাড়াই কাজ করতেন। একজন ডাক্তার হিসেবে রোগীর পুনর্বাসনের চেয়ে প্রশংসনীয় কোনো কিছু নেই ।এটা এমন একটি মনোভাব যার কারণে চেন বিং তার পোস্টে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাকে বিশদ ক্লিনিকাল জ্ঞানের খোরাক যোগায় যা দ্বারা তিনি তার রোগীদের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন ।
তার কর্মের মাধ্যমে শিক্ষা ও নতুন ডাক্তারের উৎপত্তি
১৯৯৭ এর শুরু থেকে চেন বিং মডার্ন ক্যান্সার হাসপাতাল গুয়াংঝো-এর একজন নেতা হিসেবে আছেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন ।তিনি বিভিন্ন বিভাগের সকল দায়িত্বে আছেন যেমন,মেডিকেল চিকিৎসা,নার্সিং এবং প্রযুক্তি। সামনে প্রতিবন্ধকতা দেখলে তিনি পিছু হটেন না। তিনি মেডিকেল সেবার মান কঠোরভাবে দেখাশোনা করেন এবং সব বিভাগের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন যাতে তিনি ডায়াগনোসিস,চিকিৎসা ও নার্সিং সেবা সম্বন্ধে জানতে পারেন । চেন বিং সবসময়. মারাত্নক অসুস্থ রোগীদের বাঁচাতে সচেষ্ট থাকেন এবং জটিল অবস্থায় সবার পরামর্শ নেন । তিনি নতুন ডাক্তারদের মেডিকেল প্রযুক্তিতে আরো দখল নেওয়ার জন্য ক্লিনিকাল প্রশিক্ষণ ও ব্যক্তিগত প্রশিক্ষনের পরিকল্পনা করেছেন ।চেন শুধু তত্বীয় মেডিকেল জ্ঞাঙ্কেই গুরুত্ব দেন না, তিনি ক্লিনিকে স্টার প্রয়োগ করেন ।তাই ওয়ার্ড পরিদর্শনের সময় তিনি মেডিকেলের কর্মচারীদের রোগীর অবস্থার বিশদ বিবরণ দেন। তিনি মনে করেন মেডিকেল বিজ্ঞান এক ধরনের অভিজ্ঞতার বিষয় ।
তিনি আশা করেন তার সকল মেডিকেল জ্ঞান নতুন ডাক্তারদের জানাতে পারবেন, কারণ তারা যত বেশি মেডিকেল প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানবে তত বেশি তারা রোগীদের উন্নততর সেবা দিতে পারবে যাতে তারা বেশিদিন বাঁচতে পারে এবং ব্যথা দূর করতে পারে ।তার নেতৃত্বে মডার্ন ক্যান্সার হাসপাতাল গুয়াংঝো এর মেডিকেল টিম প্রেরণা পায় ও উদ্বুদ্ধ হয়।তারা একটি ক্ষমতাশালী ও একতাবদ্ধ দল হিসেবে আত্নপ্রকাশ করছে । যখন মেডিকেল জট ও রোগীর পরিবার থেকে আক্রমনাত্মক আচরণ আসে,চেন কখনো অনুযোগ করেন না, উলটো তিনি তাদের ধৈর্যসহকারে তাদের কাছে কারণ ও প্রমাণসহ ব্যাখ্যা করেন ।অবশেষে, তিনি রোগীর আস্থা ও প্রশংসা অর্জন করেন ও অন্য ডাক্তার ও নার্সদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যান ।ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্বেও তিনি দৈনন্দিন ওয়ার্ড পরীক্ষা করেন । মারাত্নকভাবে আক্রান্ত,অপারেশন পরবর্তী ও জটিল সমস্যাযুক্ত রোগীদের পরীক্ষা করার সময় তিনি সাধারন রোগীদের থেকে বেশি জোর দেন ।তিনি মনে করেন রোগীদের অবস্থা পরীক্ষা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । রোগীর অবস্থা বোঝার জন্য অসতর্কভাবে ডায়াগনোসিস ফলাফল না দেখে বাহ্যিক অবস্থা ভেদ করে দেখতে হবে । একজন ডাক্তার ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ,একজন রোগীকে বাচানোর উদ্দেশ্যে, চেন তার প্রাত্যহিক ক্লান্তি ভুলে যান ।তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে একজন ডাক্তারের মিশন হল আহতকে সুস্থ করার বাধ্যবাধকতা এবং মৃত্যুপথযাত্রীকে উদ্ধার ।