দাই ওয়েনাইন একজন সহযোগী প্রধান চিকিৎসক এবং মডার্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল এর পঞ্চম তলার অন্তর্গত ওয়ার্ডে তিনি বসেন। এই কোমল ও লাস্যময়ী চিকিৎসক ক্যান্সার বিষয়ক চিকিৎসাকার্যে দশ বছর যাবৎ নিয়োজিত রয়েছেন এবং ঘরোয়াভাবে “চাইনিজ এন্টিক্যান্সার এসোসিয়েশন ফর কম্যুনিকেশন অফ দ্যা ক্যান্সার স্পেশালিস্ট” এর শিক্ষাসম্বন্ধীয় আলোচনায় আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। এবং তিনি “মিনিম্যালী ইনভেসিভ ট্রিটমেণ্ট কমিটি অফ চাইনিজ এন্টিক্যান্সার এসোসিয়েশন” এর কমিটির তরুণ সদস্য।
“ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ইতিবাচক কথার মাধ্যমে রোগীকে প্রস্তুত কর।”
ডক্টর দাই সকল ধরনের সলিড টিউমারের (যেমন স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, পরিপাকতন্ত্রের টিউমার, গাইনোকলজিক টিউমার, মাথা ও ঘাড়ের টিউমার) সমন্বিত চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ। দশ বছর ধরে তীক্ষ্ণ অধ্যয়ন এবং গবেষণার মাধ্যমে ডক্টর দাই বহু আধুনিক ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট আয়ত্ত করেছেন যেগুলো চিকিৎসাশাস্ত্র ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে উন্নত হয়।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ন্যুনতম আক্রমণকারী চিকিৎসাপদ্ধতি যেমন রেডিওএক্টিভ পার্টিকেল ইমপ্লান্টেশন, ক্রিওথেরাপি, জিন-টার্গেট থেরাপি ইত্যাদি।
তিনি রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপির সকল মূলনীতির ব্যাপারে সম্যকভাবে অবগত এবং রোগীর অবস্থাভেদে তিনি কার্যকর রাসায়নিক ঔষুধ দিতে পারঙ্গম। পাশাপাশি, ডক্টর দাই শুধুমাত্র ক্যান্সারের শারীরিক ক্ষতি নিয়েও উদ্বিগ্ন নন, এর সাথে সংশ্লিষ্ট রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য , শারীরিক অনুশীলন এবং সামাজিক সমর্থন যেগুলো রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেগুলো নিয়েও গবেষণা করছেন।
ডক্টর দাই প্রতিদিন পড়ালেখার অভ্যাস এখনো অনুশীলন করেন, বই পড়ে এবং ওয়েবসাইট থেকে তিনি নিয়মিত জ্ঞান আহরণ করে থাকেন। ডক্টর দাই বলেন, “চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়ালেখা কঠিন, যেহেতু আধুনিক প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান নিয়ত উন্নতি সাধন করছে এই শাস্ত্রও দিনদিন নতুন মোড় নিচ্ছে।রোগীদের সুপরিচর্যার জন্যে আমাদের নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি, প্রযুক্তি এবং চিন্তাধারা বিষয়ে অবগত থাকতে হবে।” তার প্রাচূর্যময় পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে ডক্টর দাই বহু ক্যান্সার রোগীকে তাদের যন্ত্রণা লাঘবে সাহায্য করেছেন যেটি তাদের জীবনযাপনে উৎকর্ষ সাধন করেছে এবং তাদের দীর্ঘায়ু করেছে।
তার রোগ নিরাময়ে দক্ষতা রোগীদের নিরাপদে রাখে
ছবিতে যে ওভারিয়ান ক্যান্সার রোগীকে দেখা যাচ্ছে উনি ইন্দোনেশিয়ান। ডক্টর দাই এবং তার চিকিৎসক দলের যৌথ প্রচেষ্টায় তার দুরবস্থার উন্নতি হয়। খুশিমনে রোগী ডক্টর দাই এর সাথে ছবি তোলেন এবং তাকে আশার আলো দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।
মে ২০১১ তে মিসেস ঝং এবডোমিন্যাল ডিসটেনশন এবং পেইন অনুভূত করায় স্থানীয় হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড বি করার জন্যে যান যেখানে তার ওভারিয়ান ক্যান্সার ধরা পড়ে। তার অবস্থা ছয় মাসে আরো খারাপ হয়ে গেলে তিনি অক্টোবর ১৯,২০১১ তে মডার্ণ ক্যান্সার হসপিটাল গুয়াংঝুও তে ভর্তি হন। তখন তিনি অত্যন্ত দূর্বল ছিলেন এবং তার তলপেট তরল পদার্থ জমা হয়ে ফুলে উঠেছিল। এছাড়া তিনি প্রচণ্ডভাবে লোহিত রক্ত কণিকা ঘাটতিতে ভুগছিলেন যার কারণে তিনি নড়াচড়াও করতে পারছিলেননা। তার সি.টি. স্ক্যান দেখে বোঝা গেল যে ক্যান্সার তার ইন্টেস্টিন, গলব্লাডার, লিভার, ডায়াফ্রাম, সিভিয়ার এসাইটিস এবং বাইল্যাটারাল প্লুরাল ইফিউশনে ছড়িয়ে গেছে। এমন ভয়াবহ অবস্থায় কোন কার্যকর চিকিৎসা ব্যতিরেকে তার ২-৩ মাসের বেশি বাঁচার কথা ছিলনা। ডক্টর দাই রোগীর বয়স ও শারীরিক দুরবস্থা বিবেচনা করে ইমিউনোথেরাপি এবং ইণ্টারভেনশনাল থেরাপির মাধ্যমে একটি চিকিৎসাপদ্ধতি পরিকল্পনা করেন। ব্যবস্থাপত্রের প্রথম চক্র শেষ হওয়ার পর নিশ্চিতভাবে রোগীর অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটলো, তার ফুলে উঠা তলপেট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গেল।
মিসেস ঝং এর হাসপাতালের ব্যাপারে ভয় ছিল এবং ডক্টর দাই পুনঃপুন তার অবস্থা এবং ট্রিটমেণ্ট বিষয়ে জানতে চেয়ে এবং সকল প্রশ্নের উত্তর ধৈর্য্য সহকারে দিয়ে কার্যকর চিকিৎসার মাধ্যমে মিসেস ঝং এর বিশ্বাস অর্জন করতে সমর্থ হন। ডক্টর দাই বলেন যে, রোগীর বিশ্বাস অর্জনে সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে কার্যকর চিকিৎসার ফলাফল।
চিকিৎসা ও সেবা-যত্ন্রের মাধ্যমে মিসেস ঝং এত সুন্দরভাবে তার স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে সক্ষম হন যে তার আকর্ষণীয় চেহারা দেখে বোঝবার উপায় নেই যে তিনি ক্যান্সার রোগী ছিলেন। তার সি.টি. স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায় যে তার ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার নিয়ন্ত্রিত হয়েছে এবং ডায়াফ্র্যাগমেটিক মাসল এর টিউমার অদৃশ্য হয়ে গেছে। তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। ডক্টর দাই এবং অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানাতে তিনি নিজেই একটি এমব্রয়ডারীর কাজ করে তার সেবায় নিয়োজিত সকলের জন্য উৎসর্গ করেন।