ইন্দোনেশিয়াতে জাকার্তা অফিসের প্রধান বিশেষজ্ঞ, সহযোগী প্রধান চিকিত্সক
চীনা মেডিসিনে স্নাতক গুয়াংজি কলেজ থেকে এবং ১৯৮৪ সালে তিনি মেডিসিনে স্নাতক ডিগ্রী পেয়েছেন। তারপর, তিনি গুয়াংজি প্রদেশের গুইগাং শহরের কিনটাং জেলার পিপুল’স হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৬ থেকে২০০৫ পর্যন্ত গুয়াংঝোর ইউয়েকজিউ জেলার সেকেন্ড পিপুল হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। তিনি হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে মেডিকেল ওনকোলজি নিয়ে গবেষণা করছেন এবং ওনকোলজি উপর শক্ত ভিত্তির সাথে পেশাদার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যার ফলে তিনি সাধারণ রোগ, প্রায়ই ঘটে এমন রোগ এবং ক্যান্সার যেমন - যকৃতের ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার চিকিৎসা করতে সক্ষম হন। এছাড়া, ডঃ লি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নিজেকে নিযুক্ত করেছেন, বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন যেমন – প্রাথমিক যকৃতের ক্যান্সার যা সিনোবুফাজিন দ্বারা চিকিৎসা করা হয় তার ৩২টি ক্লিনিকাল পর্যবেক্ষণ, চীনা ভেষজ দিয়ে কেমোথেরাপির পর বমির চিকিৎসা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিযাতে তার অনেক সুনাম আছে, ইন্টারনেশনাল ডেইলি নিউজ, কমপাস, ওয়ার্ল্ড জার্নাল, বিজিনেজ, টিভি-7 টেলিভিশন এর মতো বিখ্যাত আন্তঃর্জাতিক মাধ্যমে তার অনেক সাক্ষাতকার প্রচারিত হয়েছে।
ভদ্র এবং মার্জিত স্বভাবের এই বিশেষজ্ঞ ২৮ বছর ধরে ক্লিনিকাল কাজে নিযুক্ত আছেন এবং এখনও সচেষ্ট এবং তিনি তাঁর কাজের জন্য যথাসাধ্য করতে পারেন। দেশে না বিদেশে, রোগীর বর্ণ কী, তারা কোন ভাষী – এসব তার কাছে কোন ব্যাপার না, ডঃ লি প্রত্যেক রোগীকে একই চোখে দেখেন, এবং সবসময় তিনি রোগীদের জন্য সহানুভূতিশীল। এসময় ডাক্তার হচ্ছেন এমন ব্যক্তি যার উপর রোগী আস্থা ও ভরসা রাখতে পারেন, তাই তিনি এই আস্থা ও ভরসা অবহেলা করতে পারি না এবং যত দূর পারি প্রত্যেক রোগীকে সাহায্য করি। তিনি মনে করেন যে ওষুধ কোনো জাতীয় গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয় এবং ভালবাসার কোনো সীমানা নেই, প্রতিটি জীবনই সম্মানিত এবং দামী, তাই যখন রোগীরা রোগে ভোগেন, তাদের অধিকাংশই উদ্বিগ্ন হন ও ভেঙ্গে পড়েন কিন্তু সুস্থ হতে চান এবং বেঁচে থাকতে চান।এই সময়ে লি ইউয়ানঝং ক্যান্সারের জ্ঞানের উপর বিভিন্ন লেকচার দিয়েছেন যা থেকে লোকে অনেক বেশি জানে যে কীভাবে ক্যান্সারকে মোকাবেলা করতে হয়, এর মধ্যে রয়েছে জাকার্তা চায়নিজ রেডিওতে লেকচার যাতে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসা বিশেষত রেডিওএকটিভ পার্টিকল ইমপ্লেন্টেশান ও ক্রাওসার্জারী এর পরিচিয় তুলে ধরা হয়, জাকার্তার নভোরটেলে স্তন ক্যান্সারের মিনিমালি ইনভেসিভ চিকিৎসার উপর লেকচার, যকৃত ক্যান্সার, মিনিমালি ইনভেসিভ চিকিৎসার সর্বশেষ উন্নতি এবং বালি দ্বীপে টিউমার চিকিৎসায় ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার ইত্যাদি লেকচার। এসব লেকচার মানুষকে জানতে দিয়েছে কীভাবে ক্যান্সারকে মোকাবেলা করতে হয়।
ডঃ লি লেকচার দেয়ার জন্য উপকরণ প্রস্তুতে খুব ব্যস্ত থাকেন, জাকার্তায় তার পরামর্শ ও রোগীদের জন্য পূর্ববতী কথাবর্তা, তার দক্ষতা ও মহানুভবতার কথা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, এবং আরও আরও ক্যান্সার রোগীদের ডঃ লির সাথে দেখা করতে আসছেন এবং এর সংখ্যা প্রায় ৬০০০পৌঁছেছে। নিম্নোক্ত দুই জন রোগী ডঃ লির দ্বারা গভীর ভাবে মুগ্ধ হয়েছেন:
২০০৯ সালে, মেডান থেকে আসা স্তন ক্যান্সার একজন রোগী নাম কিউ জিজিয়াং, যিনি মালয়েশিয়াতে কয়েকবার কেমোথেরাপি নিয়েছেন, যেখানে উন্নতির পরিবর্তে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। যখন তিনি চিকিৎসা ছেড়ে দেওয়ার মত অবস্থায় ছিলেন, তিনি ডঃ লি সাথে পরামর্শ করতে এসেছিলেন জাকার্তা অফিসে। ডঃ লি সব তার মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখলেন এবং তার শারীরিক অসুবিধা, পূর্ববর্তী চিকিত্সা, সেগুলোর পাশ্বপতিক্রিয়া এবং অন্যান্য সমস্যার বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করলেন। এবং তারপর কিউ জিজিয়াং এর অবস্থার উপর ভিত্তি করে, ডঃ লি গুয়াংঝো আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালে ইন্টারভেনশনাল থেরাপি, পার্টিকল ইমপ্লেন্টেশান ও ইমিওনো থেরাপি ইত্যাদির মত উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করলেন। ডঃ লির আনুকুল্য ও দূঢ় দায়িত্বশীলতা দেখে তিনি গুয়াংঝো আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। হাসপাতালে ইন্টারভেনশনাল থেরাপি, অপারেশান, পার্টিকল ইমপ্লেন্টেশান ও ইমিওনো থেরাপির ফলে তার টিউমার চলে যায়, তার শারিরিক অবস্থা ভাল হয়ে আসে, তিনি এখনো ৪ বছর ধরে বেঁচে আছেন। প্রতি বছর মার্চ থেকে জুনে কিউ জিজিয়াং নিয়মিত চেকআপ করান, এবং কোন রিঅকারেন্স বা অন্য অস্বভাবিকত্ব বা মেটাস্ট্রেস হয় নি। ইন্দোনেশিয়া ফিরে গিয়ে কিউ জিজিয়াং ঠান্ডা বা কাশির মত সমস্যায় পড়লেও ডঃ লি কে জানান, এবং তিনি ধৈর্যের সাথে প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর দেন।
জাকার্তা থেকে অ্যাডভান্সড লিভার সিরোসিস আক্রান্ত জিন জি নামের এক রোগী পেটে ফাঁপা, জন্ডিস, শোথ, হেঁটে যাওয়ার অক্ষমতা, টানা ৩০ মিনিট ধরে কথা বলায় কোমা ইত্যাদিতে ভুগছিলেন। তিনি জাকার্তা হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়েছেন, ৭-১০ দিনে কোন উন্নতি না হওয়ায় পুষ্টি সরবারহ ও ডিটক্সিফিকেশানের জন্য তাকে এলবুমিন ট্রান্সফিউজ করতে হয় এবং ডক্তার বলেন যে, তিনি ৩ মাসের বেশি বাঁচবেন না। একসময় তার পরিবার গুয়াংঝো আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালে লিভার সিরোসিস রোগের চিকিৎসার কথা জানতে পারে এবং ডঃ লির সাথে জিন জি বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ করতে গেলে, ডঃ লি এবং তার সহকারী জিন জিকে জাকার্তা হাসপাতালে দেখতে যান। জিন জির বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছা দেখে ডঃ লি তাকে দ্রুত গুয়াংঝো আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালে স্টেম সেল থেরাপি দেয়ার ব্যবস্থা করেন। চিকিত্সার সমাপ্ত হওয়ার পরে, জন্ডিস চলে গেল, তার স্ফীতি ধীরে ধীরে কমে আসল, তার যকৃতের কার্যক্রম ধীরে ধীরে উন্নতি করল এবং তিনি কোমা নিয়ে বা না নিয়ে কথা বলতে পারলেন, হাটতে পারলেন যা রোগীকে এবং তার পরিবারকে খুব খুশি করে তোলে, তার প্রত্যাশিত আয়ু দেড় বছরের মত দীর্ঘায়িত হয় ...........
এরকম আরও অনেক জীবন্ত বলার মতো গল্প আছে। ডঃ লি এর উদ্যম এবং রোগীদের জন্য ভালোবাসা তাকে আধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালের সবচেয়ে মমতাময় মানুষদের একজন হতে সক্ষম করেছে। মেডিসিনে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, চিকিৎসা নৈতিকতা মধ্যে পরার্থপরতা এবং রোগীদের জন্য চিন্তাশীল যত্ন রোগীদের হৃদয়ে শীতকালের উষ্ণ রোদের মত।